আ. লীগের অনুষ্ঠানে ওসির হাততালি

মাদারীপুর সংবাদদাতা
  ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:৩৩

‘আওয়ামী লীগের সরকার, বার বার দরকার’-দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ স্লোগান দিতে দেখা গেছে মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসানকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কালকিনি পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় ওসিকে হাততালি দিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ।  
অনুষ্ঠানে মঞ্চের প্রথম সারিতে বসে ছিলেন কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান। একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাততালি ও দলীয় স্লোগান দেওয়ার ভিডিওটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে ক্ষোভ জানিয়েছে সুধী মহল।
প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হয়ে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে মঞ্চে উঠে স্লোগান ও হাততালি দেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, আইন আপনি দেখেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুষ্ঠানে থাকা কোনো অন্যায় না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনুষ্ঠিত এ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ (কালকিনি-ডাসার) আসনের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ছাড়াও
কালকিনি পৌর মেয়র এস এম হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাসার, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার লোকমান হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাসার, কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চায়না খানমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য গোলাপ বলেন, অবরোধ আর গাড়ি পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। কারণ আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী দল। সব নেতাকর্মীকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, সংসদ সদস্যের কর্মসূচিতে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে যেতে হয়।  
মঞ্চে ওঠা, স্লোগান দেওয়া প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিষেধ কিনা তিনি জানেন না বলে জানান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি ইয়াকুব খান শিশির বলেন, একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীর এমন আচরণ কাম্য নয়। তার নিরপেক্ষ থাকাটা জরুরি বলে মনে করি। বিষয়টি আমলে নেওয়া দরকার।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভিডিও পেলে, দেখে বলতে পারব, আসলে বিষয়টি কি ঘটেছিল। ঘটনা সত্যি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।