৭-৮ মাস আগে মোবাইল ফোনে একই জেলার তাসলিমা আক্তারকে বিয়ে করেন প্রবাসী আবদুল হামিদ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় তাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর মধ্যপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও তাসলিমার স্বজনরা জানান, প্রবাসী আবদুল হামিদের সঙ্গে ৭-৮ মাস আগে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন হামিদ। এর মধ্যে একবার শ্বশুরবাড়িতেও যান তিনি। আজ দাম্পত্য কলহের জেরে ধারাল ছুরি দিয়ে তাসলিমাকে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী।
খবর পেয়ে তাসলিমার ভাই আব্দুল কুদ্দুছ ঘটনাস্থলে এসে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন আর বিলাপ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘৭-৮ মাস আগে বিদেশে থাকা অবস্থায় হামিদের সঙ্গে বোনের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার অনুষ্ঠান করে বোনকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই। এ সময়ের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছে কি না বলতে পারি না। আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।’
হীরাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল মিয়া বলেন, ‘দুপুরের নামাজ পড়ে হৈ চৈ শুনে দৌড়ে এসে শুনি হামিদ তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।’
আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন বলেন, সোয়া ২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিছানায় গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।