জবরদস্তি করে দখল নয়, দাফতরিক কাগজপত্রের সুরক্ষা এবং ভবনের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেই গ্রামীণ টেলিকমে তালা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, ‘যাদের হাতে প্রতিষ্ঠানের আইন সৃষ্টি, তারাই একটি আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জবরদখলের মতো শব্দ ব্যবহার করে নোবেল বিজয়ী এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে। তারা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রেখে আন্তরিকভাবে বিষয়গুলো সমাধান করা আমাদের লক্ষ্য। আজ যারা গ্রামীণ ব্যাংকের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত, তারাও গ্রামের দরিদ্র-ভূমিহীন সদস্যদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ দরিদ্র-ভূমিহীন ঋণগ্রহীতা সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’
গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি নামে সাতটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ।
তিনি বলেন, ‘ওই সাতটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের সৃষ্টি। আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়নে গ্রামীণ ব্যাংক আইনগত অধিকার রাখে।’
এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক টাকা লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আক্তার বলেন, ‘ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে।’