মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে বেশি কিছু বলতে চান না বলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বরাবরই একই কথা বলে আসছি বাংলাদেশের জনগণ কারও ওপর নির্ভর করে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবে এটা আমরা মনে করি না। জনগণ সব সময় তার নিজের শক্তিতে, নিজের পায়ের ওপর ভর করে ৭০-এর পূর্বেও আন্দোলন করেছে, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলন করেছে, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছে পরবর্তীকালে আমরা যে আন্দোলন করেছি জনগণের শক্তিতে নির্ভর করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছি। সুতরাং এই বিষয়ে (ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর) বেশি কথা বলতে চাই না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভসহ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে ভয়াবহ পর্যায়ে আছে; খাদের কিনারে গেছে, পড়ে যাবে।’
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির পক্ষে তার সঙ্গে আরও ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে ছিলেন সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাসান আল মামুন প্রমুখ।
গণঅধিকার পরিষদের পর বিএনপি মহাসচিব গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের পক্ষে ছিলেন স্যোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবুল কালাম আজাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) হারুন আল রশিদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির ডা. সামছুল আলম, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী।
এর আগে, গত রবিবার ১২ দলীয় জোট এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠক দিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করে বিএনপি। এরপর দিন গতকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির (ইরান) সঙ্গে বৈঠক করে দলটি। আজ গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণফোরামের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে বিএনপির।