মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন শক্তি দিয়ে ক্ষমতায়িত করা মানেই হলো আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল, টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামের (আইপিবিএফ) ‘বিল্ডিং দ্য ফাউন্ডেশন ফর ক্লিন এনার্জি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, অনেকেই জানেন যে, বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহ সীমিত। আগামী বছরগুলোতে এই জ্বালানির সরবরাহ কম হতে পারে। তাই টেকসই, সমতাভিত্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত শক্তিতে ট্রানজিশন জরুরি। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের জ্বালানি বাজারও ধাক্কা খেয়েছে। এ সময় দেশগুলো জ্বালানির বিদেশি উৎসর ওপর তাদের নির্ভরতা সম্পর্কে তীব্রভাবে সচেতন হয়েছে। এর থেকে আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করেছি তা স্পষ্ট। রাশিয়া বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, তারা শক্তি অবকাঠামোকে জিম্মি করে রাখবে তার অশুভ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ভাগ্যবান। আমি গর্বিত যে, মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশকে তার উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এই সম্পদ ব্যবহারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তবে আমি আগেই বলেছি, এই সরবরাহগুলো অসীম নয়। তাই নবায়নযোগ্য এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে ট্রানজিশন বাংলাদেশের জন্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বেসরকারি খাত, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সমমনা সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা রাতারাতি হবে না। এটা অর্জন করতে কয়েক বছর লাগবে। তবে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি এবং আমাদের সম্মিলিত জ্ঞান ভাগ করে নিই, তবে এটি দ্রুত সম্পন্ন করতে পারব।