জিডির পরও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ , ব্যারিস্টার সুমনের ক্ষোভ

“রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।“
ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ জুন ২০২৪, ২২:৩২
আপডেট  : ৩০ জুন ২০২৪, ২২:৩৪

নিরাপত্তা শঙ্কায় রাজধানীর শেরেবাংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণে আইনজীবী সুমন বলেন, তাকে কেন জিডি করতে হল, পুলিশ যেহেতু আগে জেনেছে, তারাই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবেন।
“এরা খবর নেয় না বলেই লোকগুলো মারা যায়, এরা খবর নেয় না বলেই বেনজীররা এত ধনী হয়। এরা খবর নেয় না বলেই মতিউররা এত টাকার মালিক হয়।“
শনিবার সন্ধ্যার পর তাকে ‘হত্যার চেষ্টা’ করা হচ্ছে, পুলিশের থেকে এমন তথ্য পেয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সংসদ সদস্য সুমন।
পরে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুকে জিডির ছবি দিয়ে পোস্ট দেন।
জিডির পরদিন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, গত বৃহস্পতিবার সংসদে থাকাকালে তার এলাকা চুনারুঘাট থানার ওসি তাকে ফোনে বলেছেন, এক লোক তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে বলেছে কিছু লোক ভাড়াটে খুনি তাকে (সুমন) হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
সুমন বলেন, গ্রামের বাড়িতে গেলে ওসি তার সঙ্গে কথা বলার অনুরোধও করেন।
“যে লোকটি ওসিকে মেসেজ দিয়েছে তার সঙ্গে ওসি সাহেব আমাকে তার ফোনে কথা বলিয়ে দেন। তখন ওই লোকটি আমাকে বলে যে সে ওই কিলার গ্রুপের সদস্য ছিল। যখন জানতে পারে যে আমাকে মারার জন্য ভাড়া করা হয়েছে তখন সে রাজি হয়নি। কারণ সে আমার কাজকর্ম সম্পর্কে জানে। তাই সে রাজি হয় নাই।
“তখন সে আমাকে বলে - আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি আপনি ২/৩ দিন ঘরের বাইরে যাবেন না।“
এরপর ব্যারিস্টার সুমন থানায় জিডি করেন জানিয়ে বলেন, “আমি একজন মেম্বার অব পার্লামেন্ট। পুলিশ আমার এলাকার ওসি সাহেব যখন জানলেন কোনো একটা মারফতে আমার লাইফ রিস্ক আছে, তখনই কিন্তু উচিত ছিল যে তিনি এসপি সাহেবের সাথে আলাপ করবেন, ডিআইজি সাহেবের সাথে আলাপ করবেন - এটা কি আসলে থ্রেট, নাকি বোগাস। এটা তো আমার কাছে আসার আগেই এদের তদন্ত করে ফেলা উচিত ছিল।
“রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।“
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সুমন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক বিষয়ে পোস্ট ও লাইভ করে আলোচনায় আসা ব্যারিস্টার সুমন সম্প্রতি আবার খবরে আসেন পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ অনুসন্ধান করার দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গত এপ্রিল আবেদন করে।
এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বলে অভিযোগ করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন এই আইনজীবী।