‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমানের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ‘নিখোঁজ’ আতিকুরের সন্ধান জানতে তাঁর বাবার করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘আট দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিক’ শিরোনামে গত বুধবার প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটিসহ এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে আতিকুরের বাবা আবুল হোসেন সরদার গত সপ্তাহে রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কায়সার কামাল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আতিকুর রহমানকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে তাঁকে আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আতিকুর রহমানের সন্ধান জানতে ২ জুলাই তাঁর বাবা লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। আতিকুরকে উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে ৬ জুলাই লালবাগ জোনের পুলিশের উপকমিশনার বরাবরে আবেদন দেন তাঁর বাবা। এরপরও আতিকুরের সন্ধান না পেয়ে তিনি ১০ জুলাই রিট করেন।’
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আতিকুর রহমানের (রাসেল) পরিবার সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা—সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছে। কোথাও তাঁর হদিস নেই। তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, আতিকুরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তিনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন। রাজধানীর পুরান ঢাকার আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে ১ জুলাই আতিকুর রহমান নিখোঁজ হন। নিখোঁজ আতিকুর রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি।