লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য গভর্নর নির্বাচিত নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত ২২ মে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বারী টাওয়ারে এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, লায়ন্স নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল এ অনুষ্ঠানে। বারী গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন মুনমুন হাসিনা বারী, তাঁদের তিন সন্তান মাহি বারী, আদি বারী এবং সাবা বারী উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি (ইলেক্ট) ডিস্ট্রিক্ট ২০ আর২ আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর আসেফ বারী টুটুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর মাদাদি সাই ও আমাদো সাই, লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০ আর২-এর নির্বাচিত প্রথম ভাইস ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর নিনা স্মিথ (ইলেক্ট), নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাঈদ, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান সেলিম ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য আতোয়ারুল আলম, সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নুর ইসলাম বর্ষণ, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল পাশা, অর্থকণ্ঠ ও বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিনের সম্পাদক এনামুল হক এনাম, বাটারফ্লাই সিনিয়র ডে কেয়ারের ডাইরেক্টর জাবের চৌওধুরি, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি আনেয়ারুল হক, জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুজ্জামান কামরুল, জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গিয়াস আহমেদ, জেবিবিএর সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রকি আলিয়ান ও ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন এএফএম রাসেল, এম্পায়ার হোম কেয়ার-এর নুরুল আজিম, এম এস আলম, রুহুল আমিন, হাসান জিলানী, এফইএমডি রকি, রুহুল আমিন, হাবিব, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুন নুর বারো ভুইয়া, বগুড়া সমিতির সভাপতি মহব্বত আকন্দ, লায়ন্স ক্লাবের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ নোমান পলাশ, রুপসী বাংলা টিভির শাহ জে চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ময়নুজ্জামান চৌধুরী, জমজম ট্রাভেলস এর কর্ণধার তৌহিদুল ইসলাম মুন্না, বিশিষ্ট সমাজসেবক আহসান হাবিব প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ব্রঙ্কস লায়ন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। আসেফ বারী টুটুল তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বিশেষ করে লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর সকল সদস্য ও নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাদের সহযোগিতা ছাড়া এই পদে নির্বাচিত হওয়া সম্ভব ছিল না। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, “এই দায়িত্ব শুধু সম্মানের নয়, বরং এটি আমার জন্য একটি প্রতিশ্রুতি, মানবসেবায় নিজেকে আরও বেশি নিবেদিত করার। তিনি লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল-এর বিশ্বব্যাপী মানবসেবামূলক কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
লায়ন্স ক্লাব ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ এর সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও বক্তারা আসেফ বারী টুটুলকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল একটি অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা, যা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের ১৯৫টিরও বেশি দেশ ও ভৌগোলিক অঞ্চলে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর সদস্যরা স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, ক্ষুধা নিবারণ, যুব উন্নয়ন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আসেফ বারী টুটুলের নেতৃত্বে নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২-এর লায়ন্স ক্লাবগুলি আরও গতিশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আসেফ বারী টুটুলের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর (ইলেক্ট) হিসেবে নির্বাচন কেবল একটি পদপ্রাপ্তি নয়, এটি বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটির জন্য মূলধারার নেতৃত্বের দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে লায়ন্স ক্লাব ডিস্ট্রিক্ট ২০-আর২ মানবসেবায় নতুন উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়। এই অর্জন কমিউনিটির তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের মধ্যে সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের আগ্রহ বৃদ্ধি করবে। ভবিষ্যতে আসেফ বারী টুটুলের মতো আরও বাংলাদেশি আমেরিকান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব পদে আসীন হবেন, যা বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বিশ্বজুড়ে আরও বৃদ্ধি করবে। তাঁর এই বিজয় নিঃসন্দেহে নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটির জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করল।