নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ, অ্যাক্টিভিষ্ট রুখসানা আলী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিইন। পবিত্র ঈদুল আযহার দিন শুক্রবার (০৬ জুন) সকালে সবাই যখন ঈদ আনন্দের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই তিনি জীবনের লেনাদেনা শেষ করে পরপারে পাড়ি দেন। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। মৃত্যুকালে স্বামী আশরাফ আলী ও একমাত্র মেয়ে লিয়া আলী সহ বহু আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন। তার দেশের বাড়ী সিলেটের বিয়ানীবাজারে, বসবাস করতেন সিটির ওজনপার্কে। খবর ইউএনএ’র।
রুখসানা আলী বেশ কিছুদিন থেকেই ফুসফুস সংক্রমণ জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। ঈদের দুই দিন থেকে তার শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের কর্নেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল বলে টাইম টেলিভিশনের খবরে বলা হয়। মরহুমার নামাজে জানাজা শনিবার (৭ জুন) বাদ জোহর ওজনপার্কের আল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, নিউইয়র্কের মূলধারার রাজনীতিতে বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন রোকসানা আলী। সিনেটের বার্নি সেন্ডার ও আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিয়া গ্রুপের সাথে তিনি ছিলেন ঘনিষ্ট। এই ধারা থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে যারাই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেন তাদের সহযোগিতায় তিনি ছিলেন সার্বক্ষনিক তৎপর। এবং বাংলাদেশী আমেরিকান পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস-এর কো ফাউন্ডার ছিলেন। নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ও ষ্টেট অ্যাসেম্বলী নির্বাচনে তিনি ফেলিসিয়া সিং ও বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবায়দা সহ বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
রোকসানা আলীর মুত্যুতে গভীর শোকের ছাড়া নেমে এসেছে ওজনপার্ক সহ বাংলাদেশী কমিউনিটিতে। নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলীর ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ এর সাবেক প্রার্থী মেরী জোবাইদা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমার রুহের মাগফেরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।