
জ্যামাইকার হিলসাইড এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধা একসঙ্গে পৌঁছে দিচ্ছে 'আস সালাম ফার্মেসি'। ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি বহুমুখী সেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিনেশন সেবাসহ নানাবিধ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া রোগী যেন নিজের ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম, চিকিৎসা পরিকল্পনা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান, সেজন্য রয়েছে পেশেন্ট কাউন্সিলিং সেবা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির মেডিক্যাল সিঙ্ক্রোনাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকরা প্রতি মাসে একই দিনে সব ওষুধ একসাথে সংগ্রহ করতে পারেন।
স্থানীয় কমিউনিটির সুবিধাকে সামনে রেখে ফার্মেসিটিতে স্বাস্থ্যসামগ্রীর পাশাপাশি, গৃহস্থালি পণ্য, খাদ্যসামগ্রীসহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। একই ছাদের নিচে গ্রাহকদের জন্য থাকছে চাল, ডাল, তেল, মসলা, সাবান শ্যাম্পু, লোশন, ক্রিমসহ যাবতীয় গ্রোসারি আইটেম। এছাড়া রয়েছে মানি ট্রান্সফার, প্রিন্টিং, ফ্যাক্স পাঠানোসহ জরুরি সেবার সমৃদ্ধ সুবিধা। ফার্মেসিতে ওটিসি কার্ড গ্রহণ করা হয়, যাতে গ্রাহকরা সহজেই প্রয়োজনীয় ওভার-দ্য-কাউন্টার পণ্য ক্রয় করতে পারেন।
অত্যাধুনিক সেবা প্রদানেও পিছিয়ে নেই আস সালাম ফার্মেসি। গ্রাহকদের সময় বাঁচাতে আধুনিক রোবটিক মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ বিক্রি করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। যার মাধ্যমে গ্রাহকদের যেমন সময় সাশ্রয় হয় তেমনি দ্রুততম সময়ে ক্রয়কৃত ওষুধের নির্ভুল হিসাবও করা যায়।
প্রতিষ্ঠানটির ফ্রন্ট ম্যানেজার মনজুর মিয়া বলেন, আমরা চাল, তেল, লোশন, ক্রিম, ফ্রোজেন ফুডসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করি এবং গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ওটিসি কার্ড গ্রহণ করি। আমাদের ফার্মেসিতে ওষুধ ছাড়াও মানি ট্রান্সফার, প্রিন্টিং ও ফ্যাক্স পাঠানোর মতো সেবা সহজলভ্য, যা স্থানীয়দের দৈনন্দিন কাজকে অনেক সহজ করে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সময় বাঁচানো এবং প্রতিটি সেবা সহজ করা।
আস সালাম ফার্মেসির সুপারভাইজিং ফার্মাসিস্ট নাজমুল হুদা বলেন, আমারা ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রাহককে সঠিক পরামর্শ ও নিরাপদ সেবা প্রদান করে থাকি। ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আমরা মানুষদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সাহায্য করি। জরুরী অবস্থা নিয়ে কোন রোগী এলে আমরা প্রথমে ডাক্তারের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করি। ডাক্তারের পরামর্শমত আমরা ওষুধ দিয়ে থাকি। এছাড়া কোন কারণে ডাক্তার পাওয়া না গেলে আমরা অন্তত ৩ দিনের ওষুধ দিয়ে থাকি।
প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরত ম্যানেজার আসিফ আহমেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকের সময় বাঁচানো এবং উন্নত সেবা দেওয়া। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর পরিচালনার মাধ্যমে আমরা হিলসাইডে একটি বিশ্বস্ত সেবাকেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। ভবিষ্যতে সেবার পরিধি আরও বাড়বে।