পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী প্রযুক্তি সম্মেলন ‘ওয়েব সামিট’।
রাজধানীর অ্যালটিস অ্যারেনায় সোমবার শুরু হওয়া এই আয়োজন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এবারের আসরটি লিসবনে ওয়েব সামিটের দশম সংস্করণ।
২০০৯ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই প্রযুক্তি জগতকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে প্রতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে ‘ওয়েব সামিট’। ইন্টারনেট ও ডিজিটাল উদ্ভাবননির্ভর এই সম্মেলন এখন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযুক্তি ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ১৬০টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও উদ্ভাবক। স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, বিনিয়োগকারী, কর্পোরেট নির্বাহী, নীতিনির্ধারক ও সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ফিনটেক, স্থায়িত্ব, সাইবার নিরাপত্তা ও ক্লাইমেট টেকসহ সমসাময়িক প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা, যেখানে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ অর্জনের লক্ষ্যে তাদের প্রকল্প উপস্থাপন করছে। অংশগ্রহণকারীরা পিচিং ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে নিজেদের উদ্ভাবন তুলে ধরছেন। এবারের আয়োজনে ২৪টি আলাদা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন এক হাজার দুই শতাধিক বক্তা।
‘ওয়েব সামিট’ প্রথম অনুষ্ঠিত হয় আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। টানা পাঁচ বছর সেখানে আয়োজনের পর ২০১৬ সাল থেকে ইভেন্টটি লিসবনে স্থানান্তরিত হয়।
আয়োজনের প্রধান কার্যনির্বাহী প্যাডি কসগ্রেভ স্থানীয় গণমাধ্যমে জানান, “পর্তুগিজ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৮ সাল পর্যন্ত লিসবনেই অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। বর্তমানে লিসবনের পাশাপাশি ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো, কানাডার ভ্যাঙ্কুভার এবং কাতারের দোহাতেও ওয়েব সামিটের আঞ্চলিক সংস্করণ আয়োজিত হচ্ছে। গেল দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের এই মহামিলনমেলা বসেছে লিসবনে।”
উদ্বোধনী দিনে বক্তব্য দেন লিসবন সিটির মেয়র কার্লোস ময়েদা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর খাবি লেইম এবং সাবেক টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা।
এবারের ওয়েব সামিটে অংশ নিচ্ছে প্রায় এক হাজার গণমাধ্যম এবং আড়াই হাজারেরও বেশি সাংবাদিক। বাংলাদেশ থেকেও অংশ নিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিনিধি দল।

অন্যদিকে, সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানি মালিক ও ধনী উদ্যোক্তারা ব্যক্তিগত জেটে করে লিসবনে পৌঁছাচ্ছেন। এতে রাজধানীর প্রধান বিমানবন্দরে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় অনেক প্রাইভেট জেটকে বাধ্য হয়ে আশপাশের এলাকা এমনকি প্রতিবেশী দেশ স্পেনেও অবতরণ করতে হচ্ছে। পর্তুগালের প্রধান বিমানবন্দর ব্যক্তিগত বিমানের যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানা গেছে।