
যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য আবেদন করার সময় জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। সব সময় বৈধ কাগজপত্র জমা দিন, এ বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নেবেন না।
এর আগে যুক্তরাজ্যের কোনও ভিসা বা ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) কোনওভাবেই গ্যারান্টিযুক্ত নয় বলে জানায় ব্রিটিশ হাইকমিশন। তাই ভিসা নিশ্চিত করে দেওয়ার নাম করে যারা ফোন, ই-মেইল বা টেক্সট বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যদি দাবি করে যে তারা যুক্তরাজ্যের ভিসা নিশ্চিত করে দিতে পারবে, তবে এটি নিঃসন্দেহে প্রতারণা।
জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা
সব ভিসা আবেদনকারীকে ভিসা জমা ও প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করার দাবি করার নামে প্রতারক এজেন্টদের সম্পর্কে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকার জার্মান দূতাবাস।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) জার্মান দূতাবাস এক সতর্কবার্তায় এই তথ্য জানায়। দূতাবাসের মতে, এজেন্ট ছাড়াই একজন নিজ উদ্যোগে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
দূতাবাস বলছে, ‘দূতাবাস কোনও ভিসা সাপোর্ট এজেন্টের সঙ্গে যুক্ত নয়। এজেন্ট ব্যবহার করা বৈধ হলেও, এটির প্রয়োজন নেই- আপনি নিজেই আবেদন করতে পারেন। সঠিক এবং আপ-টু-ডেট তথ্যের জন্য, সর্বদা আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা আমাদের অনুমোদিত পরিষেবা সরবরাহকারী ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইট দেখুন।’
দূতাবাস সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ‘উচ্চ ফি’র বিনিময়ে ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসা ডকুমেন্টের প্রতিশ্রুতি দেওয়া কাউকে বিশ্বাস করবেন না। জাল বা প্রতারণামূলক নথি জমা দেওয়ার ফলে ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হবে এবং আপনার তথ্য আমাদের সিস্টেমে রেকর্ড করা হবে।’