
নিউইয়র্কের বিখ্যাত মলোয় ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর, শুক্রবার, গার্ডেন সিটি হোটেলে প্রথম ইউনিভার্সিটি গালা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ফিলানথ্রপিস্ট সৈয়দ জাকি হোসেনকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এই গালা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য চার লাখ ডলারের বেশি তহবিলও সংগ্রহ করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকালে সৈয়দ জাকি বলেন, “শিক্ষা সাফল্যের চাবিকাঠি। যদি আপনি উপার্জন করতে চান, আপনাকে শিখতে হবে।” সৈয়দ জাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি হিসেবেও কাজ করছেন। মলোয় ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা তাদের বক্তৃতায় বলেছেন, “একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, যিনি কফি ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কে-কাপস’ উৎপাদনে সফল হয়েছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন।” তারা আরও উল্লেখ করেছেন, তার এই অনুদান শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও, এই প্রোগ্রামগুলো স্নাতক পাঠক্রমকে শিল্প ও স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে সাহায্য করবে।
সৈয়দ জাকি, যিনি পিনটেইল কফির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, কফি ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কে-কাপস’ নামে ছোট কফি কার্টিজের প্রথম উৎপাদন প্রযুক্তি বিকাশের মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি এই প্রযুক্তি থেকে আয়কৃত অর্থের পুরোটা দান করেছেন দারিদ্র্য উপশম সংস্থাগুলিতে। সৈয়দ জাকি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার দান আন্তঃধর্মিক সহযোগিতার একটি উদাহরণ।
সৈয়দ জাকি তাঁর বক্তৃতায় বলেন “আমি প্রথমে একজন মানুষ,” আমি মানবতার সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। যদি আমি আল্লাহর সৃষ্টিকে খুশি করতে পারি, আমি খুশি হব।” বক্তৃতায় সৈয়দ জাকি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তিনি শিক্ষাকে বাস্তবে প্রয়োগের গুরুত্ব আরও বেশি অনুভব করেছেন। গালা অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ জাকির জনসেবামূলক কাজের নিত্য সঙ্গী, তাঁর স্ত্রী রাহাত হোসেন।