রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্তব্ধ গোটা জাতি। বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। এছাড়াও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শতাধিক।
মর্মান্তিক এই ঘটনা সারাদেশে শোকের মাতম সৃষ্টি করেছে। কোমলমতি শিশুদের এমন মৃত্যুর ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না দেশের মানুষ। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তারকারাও। তাদেরই একজন চিত্রনায়িকা বর্ষা। ব্যক্তিজীবনে সন্তানের জননী তিনি। যে কারণে একজন মা হিসেবে বুঝতে পারছেন, যাদের সন্তান আর ঘরে ফিরেনি তাদের মনের কষ্ট।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বর্ষা লিখেছেন, ‘পুরো বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে, যেখানে গরম নেই সেখানেই অনেক গরম। আবার ঠাণ্ডা যেখানে বেশি, সেখানে ঠাণ্ডা নেই। কিছুদিন পরপর দেখা যাচ্ছে, বিমান দুর্ঘটনার কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন এবং অনেকে অসুস্থ হচ্ছেন! ওই দুর্ঘটনাগুলো অন্য রকম কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের শিশু বাচ্চাগুলোর যেভাবে মৃত্যু হয়েছে এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।’
বর্ষা লিখেছেন, ‘জানি, মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না কার সময় কখন শেষ হবে। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। একটা মা হয়ে কিভাবে অন্য মায়ের এই কষ্ট সহ্য করি বলেন? বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে মোবাইল টা খুলে রাখি। আজকেও সকালে স্কুলে দিয়ে আসছি আরিজ আবরারকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত বাসায় আসে ততক্ষণ মায়ের মন কেমন থাকে তা মায়েরাই ভালো জানেন। হে আল্লাহ, আপনি সকল মায়ের মন হালকা করে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। আমিন।’
সবশেষ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আর এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ দয়া করে শহরের বাইরে নিয়ে যাবেন, যে এলাকায় কোনো মানুষ নেই শুধু ক্ষেত আর পানি থাকবে। দেশে জায়গার অভাব নেই কিন্তু মানুষ একটা মানুষের জীবনের অনেক অভাব। ঢাকা শহরে কিভাবে এ ধরণের প্রশিক্ষণ করা হচ্ছে চিন্তা করা যায়? কে নেবে এই নিষ্পাপ শিশুদের দায়িত্ব এখন? যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন? চোখ বন্ধ নয় খোলা রাখুন। আল্লাহ সবাইকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।’