ফিলিস্তিনের আল আকসায় ঈদুল ফিতরের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

সৌদিআরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ উদযাপিত 

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৪

৩০ মার্চ (রবিবার) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, কুয়েতসহ ১১টি মুসলিম দেশ। এদিকে, মিসর, সিরিয়া, ওমান, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য দেশে সোমবার ঈদ উদযাপন হবে।
২৯ মার্চ (শনিবার) ১১টি দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর ঈদ উদযাপন শুরু হয়েছে। তবে কিছু দেশে, যদি চাঁদ না দেখা যায়, তখন মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি দেশ থেকে জানানো হয়, সেখানে চাঁদ দেখা গেছে, তাই আজ রবিবার ঈদ হবে। অন্যদিকে, মিসর, সিরিয়া, মরক্কো, তিউনিশিয়া ও লিবিয়ার ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার ৩০ রমজান পূর্ণ হবে, তাই তারা আগামীকাল ঈদ উদযাপন করবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তাদের দেশে ঈদ হবে সোমবার। পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াতেও সোমবার ঈদ উদযাপন হবে।
ইরাকে, সুন্নি ও শিয়া কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে বিভেদ রয়েছে। সুন্নি এনডাওমেন্ট অফিস এবং শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল সিস্তানির অফিস জানিয়েছে, ইরাকে সোমবার ঈদ হবে। তবে কুর্দিস্তান অঞ্চলে শনিবারই ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ যে ১১টি দেশ ঈদ উদযাপন করছে সেগুলি হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তুরস্ক, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, সুদান, লেবানন (সুন্নি কর্তৃপক্ষ) ও ইরাক (কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার)।
আর যেসব দেশ সোমবার ঈদ উদযাপন করবে, সেগুলি হল- ওমান, মিসর, সিরিয়া, জর্ডান, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইরাক (সুন্নি ও শিয়া কর্তৃপক্ষ), তিউনিশিয়া ও লিবিয়া।

ফিলিস্তিনের আল আকসায় ঈদুল ফিতরের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম এই মসজিদে ঈদের নামাজে ঢল নামে মুসল্লিদের। ব্যাপক কড়াকড়ি সত্ত্বেও রমজানের শেষে রবিবার আল-আকসায় ঈদের নামাজ আদায়ে জড়ো হন হাজার হাজার মুসল্লি। শেষ রোজার দিনও আল আকসা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করেছেন ৭৫ হাজার মুসল্লি।
ইরান প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়তে হয়, তবে শেষ পর্যন্ত হাজারো মানুষ ঈদের নামাজে শরিক হন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হলেও, ফিলিস্তিনিদের জন্য দিনটি আতঙ্ক ও শঙ্কার ছায়া নিয়ে এসেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, আর জেরুজালেমেও ঈদের দিন কঠোর অবস্থান নেয় দখলদার বাহিনী।
মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। অথচ এই দিনেও ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মনে আনন্দের পরিবর্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত হামলা হচ্ছে গাজা উপত্যকায়। ঈদেও কড়াকড়ি অবস্থানে ছিল ইসরায়েলি সেনারা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে মসজিদটিতে ৪০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এর আগের বছর ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও ১০ লাখ ‍মুসল্লি মসজিদটিতে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন।