ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ বাদ দেওয়ার দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৭ জুন ২০২৫, ২২:৫৩

ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবল।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নয়াদিল্লিতে ‘ভারতের জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আরএসএস নেতা হোসাবল এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ভারতের জরুরি অবস্থার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দ দুটি যোগ করেছিলেন। এখন সেই শব্দ দুটি বাদ দিতে হবে।
হোসাবল বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২১ মাসের জরুরি অবস্থাকে বিরোধীরা অন্ধকারতম অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। ১৯৭৬ সালের সংবিধান সংশোধনীর ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দ দুটি যুক্ত হয়েছিল।
আরএসএস নেতা প্রশ্ন তুলে বলেন, ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালে কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যোগ করা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দ দুটি কি এখন বহাল রাখা উচিত?
হোসাবল শব্দ দুটি সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন।
এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীসহ কয়েকজন সুপ্রিম কোর্টে ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দ দুটি সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।