মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সাহায্য করেছেন। পাকিস্তানও তার এই দাবিকে স্বীকার করে আসছে। তবে ভারত সরকার শুরু থেকেই ট্রাম্পের এই দাবিকে অস্বীকার করে আসছে। এবার এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ খুললেন।
অপারেশন সিদুরের বিষয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) লোকসভায় বলেন ১০ মে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা থেকেই হয়েছে এবং কোনো বিদেশি নেতা ভারতকে আক্রমণ বন্ধ করতে বলেননি।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তোলা প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমরা বলেছি, আমাদের অভিযান ছিল অ-উত্তেজনামূলক। ৯ মে রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি তখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলাম। পরে যখন আমি তাকে ফোন করি, তখন তিনি জানান পাকিস্তান বড় হামলার পরিকল্পনা করছে। আমি তাকে স্পষ্ট বলেছিলাম—যদি পাকিস্তান হামলা করে, তাহলে তাদের ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে।
মোদী বলেন, ১০ মে ভারতের হামলায় পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতা প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়, এবং এই পদক্ষেপই ছিল ভারতের স্পষ্ট বার্তা ও সংকল্পের প্রতিফলন।
মোদীর দাবি, ৯ ও ১০ মে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের এমন কোনো জায়গা ছিল না, যেখানে আঘাত করেনি। পাকিস্তান তখন হামলা বন্ধের অনুরোধ করে।
এর আগে লোকসভায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। তিনি বলেন, এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রতিফলন।
মঙ্গলবার সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ বিষয়ে আলোচনার সময় লোকসভায় তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম, একটি যুদ্ধ থেমে গেলো—কিন্তু তা আমাদের সরকার বা সেনাবাহিনী নয়, বরং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন।
গত ১০ মে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার চরম মুহূর্তে ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশ একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং তা ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায়।
সূত্র: এনডিটিভি