গত মাসে গাজায় নাসের হাসপাতালের ওপর হামলায় নিজ নিজ সংবাদকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরাইলের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও রয়টার্স। দুই সংস্থা বলেছে, এ ধরনের হামলা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
সংস্থাগুলোর প্রধান সম্পাদক আলেসান্দ্রা গালোনি (রয়টার্স) ও জুলি পেস (এপি) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরাইলি সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, ‘এই সাংবাদিকদের মৃত্যুর ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং যারা এখনো সংঘাত কভার করছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব পদক্ষেপ নিতে হবে।’
গত মাসে এই হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন এপির হয়ে কাজ করা ভিজ্যুয়াল সাংবাদিক মরিয়ম দাগ্গা, রয়টার্স ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মুয়াজ আবু তাহা, যার কাজ রয়টার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই হামলায় মোট ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে। আইডিএফের দাবি, হাসপাতালের প্রাঙ্গণে হামাস একটি নজরদারি ক্যামেরা বসিয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছয়জন সশস্ত্র যোদ্ধা ছিল বলে তাদের দাবি, যাদের একজন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় অংশ নিয়েছিল।
হিব্রু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনারা প্রথমে ওই নজরদারি ক্যামেরা শনাক্ত করার পর ড্রোন হামলার অনুমোদন পায়। পরে সম্ভাব্য রাইফেলের স্কোপ ভেবে গুলি ছোড়ে এবং সশস্ত্র ব্যক্তিদের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর আরও দুটি গোলা নিক্ষেপ করে।
ইসরাইলি আগ্রাসনে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরাও। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করেছে।