‘পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের সার্বভৌম অধিকারকে সম্মান করতে হবে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:৪৭

কাবুল ও কান্দাহারে আফগান বেসামরিক নাগরিকদের উপর পাকিস্তানের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এ হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আফগান হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স বলছে, সাধারণ আফগানরা ‘সন্ত্রাস চালিত রাজনীতির’ জন্য মূল্য দিচ্ছে।নিরীহ মানুষের রক্ত ​​এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের পবিত্রতাকে সম্মান করতে হবে। খবর খামা প্রেসের। 
বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতার স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এ জোটটি বলছে, পাকিস্তান তালেবানের বিভিন্ন উপদলের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক সম্পর্কের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একটি টেকসই আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ এবং জঙ্গিবাদের অন্তর্নিহিত কারণ মোকাবেলা করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। 
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে তারা বলেন, সন্ত্রাসবাদ শিগগিরই আফগানিস্তানের সীমানা ছাড়িয়ে প্রসারিত হবে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকশ মানুষ নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। 
পাকিস্তান অভিযোগ করছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে থাকা ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের মদদ দিচ্ছে কাবুল। তারা এই মদদ বন্ধের দাবি করছে দীর্ঘদিন ধরেই। এরমধ্যে দুই সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। 
এর প্রতিশোধ নিতে সীমান্তে পাক সেনাদের ওপর হামলা চালায় আফগান সেনারা। এরপর এটি বড় সংঘর্ষে রূপ নেয়। যা কেড়ে নিয়েছে কয়েকশ প্রাণ।
আফগানিস্তান শুরু থেকে দাবি করছে, তারা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদদ দেয় না।