
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখেও আগের অবস্থানের অনড় রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সর্বশেষ এক ঘোষণায় দুটি বৃহত্তম রুশ তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পুতিন এই পদক্ষেপকে ‘অমিত্রসুলভ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞায় রুশ অর্থনীতির বড় কোনও ক্ষতি হবে না। বরং তেল সরবরাহ কমে গেলে দামের লাফিয়ে বাড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি।
পুতিন বলেন, এটি নিঃসন্দেহে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা। কিন্তু আত্মসম্মান আছে এমন রাষ্ট্র বা জনগণ কখনও চাপের মুখে মাথা নত করে না।
পুতিনের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এমন মনে করেন তো ভালো! ছয় মাস পর আমি ফলাফলটা জানিয়ে দেব।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে রসনেফট ও লুকঅয়েল— যারা মিলিতভাবে বিশ্বের মোট তেল উৎপাদনের পাঁচ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। এই সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেই তিনি বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে শিগগিরই এক বৈঠকে বসবেন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো আপাতত রাশিয়া থেকে তেল কেনা স্থগিত করেছে। অন্যদিকে, সাগরপথে রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত আমদানি ব্যাপকভাবে কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্বল্পমেয়াদে রাশিয়ার অর্থনীতিতে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সীমিত হতে পারে। তবে এটি ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে—যার লক্ষ্য ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চাচ্ছে ইউক্রেন। এ বিষয়ে পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়ার ভেতরে হামলা হলে মস্কোর প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত কঠোর, এমনকি ধ্বংসাত্মকও হতে পারে।