শরীরে আগুন দেওয়া সেই মার্কিন সেনার নামে ফিলিস্তিনে সড়ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

ফিলিস্তিনিদের মনকে জয় করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সদস্য অ্যারন বুশনেল। তিনি ফিলিস্তিনি নন। বাড়িও ফিলিস্তিন থেকে যোজন যোজন দূরে। তারপরও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ হৃদয় ছুঁয়েছিল তাঁর। 
প্রতিবাদ জানাতে শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। ২৫ বছরের টগবগে সেই তরুণের নামে ফিলিস্তিনের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। 
সড়কটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে। ১০ মার্চ রোববার। সড়কের নতুন নামফলক উন্মোচন করেন জেরিকোর মেয়র আবদুল করিম সিদর। সেখানে তখন মানুষের জমায়েত। 
সবার উদ্দেশে মেয়র বলছিলেন, ‘আমরা তাকে চিনতাম না। তিনিও আমাদের চিনতেন না। আমাদের মধ্যে কোনো সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক বন্ধন ছিল না। তার সঙ্গে আমাদের যে বিষয়টি মিলে যায়, তা হলো- স্বাধীনতার প্রতি ভালোবাসা, আর (গাজায়) ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।’
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনীর পোশাকে অ্যারন বুশনেল হাজির হন ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করছিলেন। সেখানেই ঘোষণা দেন, ‘গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে চান না’। এরপর নিজের শরীরে আগুন দেন। এ সময়ও তার আকুল আবেদন ছিল একটাই-‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই।’ এর পরপরই বুশনেলকে উদ্ধার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে বাঁচানো যায়নি।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর থেকে থেকে বুশনেল বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থী অ্যাক্টিভিস্টদের কাছে আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার মৃত্যুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তার ছবি নিয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।  এদিকে গত সপ্তাহে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বুশনেলের ছবি দিয়ে একটি বিলবোর্ড টাঙানো হয়েছে।