গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বৃহস্পতিবার ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন এবং ১৫৫ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা ঘটনাটি মূল্যায়ন করে দেখছে। খবর সিএনএনের।
আল শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ ঘরাব জানান, হতাহতদের এখনো হাসপাতালে স্থানান্তর চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কয়েক ডজন লোক মারা গেছেন।
ঘটনার পর এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা গ্রাফিক ফুটেজে দেখা গেছে, জখম হওয়া একাধিক মরদেহ পড়ে আছে। পাশাপাশি সড়কে ধ্বংসস্তূপ ও ধুলোর পাশাপাশি রক্ত ছড়িয়ে আছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় কুয়েতি গোলচত্বরে বাসিন্দারা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আর তখনই ইসরায়েলি বাহিনী ওই জমায়েতে হামলা চালায়।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, উত্তর গাজায় হাসপাতালে আসা এত পরিমাণে আহতদের চিকিৎসা দিতে পারছে না মেডিকেল টিম।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে অবরুদ্ধ ছিটমহলে চরম ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের পটভূমিতে হামলার এ ঘটনা ঘটল। গাজায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
গাজা শহরের কুয়েতি গোলচত্বরটি এমন একটি এলাকা হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে, যেখানে ত্রাণের ট্রাকগুলো খাদ্য বিতরণ করে। আর সেখানে বাসিন্দারা ভিড় করেন।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে শুক্রবার সকালে সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গাজার বাসিন্দাদের ওপর হামলার খবর মিথ্যা। ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
গত মাসে উত্তর গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শতাধিক লোকের প্রাণ যায়।