গাজায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৪০

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গাজায় অন্তত আরও ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষার বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, জাবালিয়া এবং খান ইউনিসসহ গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চলছে। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন শহর অবরোধ করে রেখেছে, ফলে ফিলিস্তিনিরা খাবার, পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিমতীরে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী এবং কয়েকজন শিশু রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালানোর পর গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় কমপক্ষে ৪০,৬০২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও ৯৩,৮৫৫ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়ার জন্য মানবিক বিরতি দিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেছেন, গাজা উপত্যকার প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি আগামী রোববার থেকে শুরু হবে।
গাজার মধ্য, দক্ষিণ, এবং উত্তর অংশে তিন ধাপে এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। প্রতি ধাপে টানা তিন দিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লড়াই বন্ধ থাকবে।
সম্প্রতি গাজায় ২৫ বছর পর ১০ মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা শিশুটির শরীরের একাংশকে প্যারালাইজড করে দিয়েছে বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এর জন্য দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া, যা ভাইরাসটি প্রতিরোধে অত্যন্ত জরুরি।