আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকস ব্লকে যোগ দিতে আবেদন করেছে তুরস্ক। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভুক্তির অগ্রগতির অভাবে হতাশ তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল বাজারের ব্রিকস জোটে যোগদানের আবেদন করেছে। কারণ তুরস্ক পশ্চিমা মিত্রদের বাইরে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রশাসন মনে করে, ভূ-রাজনৈতিক কেন্দ্র 'উন্নত দেশগুলো' থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে তুরস্ক রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে। এছাড়া ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে মতবিরোধের ফলেও এই সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে এসেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
এর আগে ইস্তাম্বুলে এরদোগান বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে একই সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করলে তুরস্ক একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ, মর্যাদাপূর্ণ ও কার্যকর দেশ হয়ে উঠতে পারে। এর বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতি তুরস্কের কোনো উপকারে আসবে না, বরং ক্ষতি করবে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে নামকরণ করা 'ব্রিকস'-এ কয়েকটি বড় উদীয়মান অর্থনীতি রয়েছে। এই বছরের শুরুতে চারটি নতুন সদস্য হলো: ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশর। সৌদি আরবকেও যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও সৌদি এখনো যোগ দেয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, আগামী ২২-২৪ অক্টোবর রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে গ্রুপটির আরও সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র আজারবাইজানও যোগ দিতে চাইছে।
প্রসঙ্গত, ব্রিকস বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো পশ্চিমা আধিপত্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকল্প হিসাবে নিজেকে তুলে ধরে।