ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আদেশে সরকারের রদবদল শুরুর পর এটি দেশের জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
পার্লামেন্টের স্পিকার রুসলান স্টেফানচুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কুলেবার পদত্যাগপত্রের ছবি প্রকাশ করেছেন।
জেলেনস্কির পর ৪৩ বছর বয়সী কুলেবা বিশ্বের কাছে ইউক্রেনের সবচেয়ে পরিচিত মুখ। তিনি বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে পরিষ্কার ইংরেজিতে আলোচনা চালাতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন।
মঙ্গলবার ইতোমধ্যে ৫ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। যারা পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন, কৌশলগত শিল্পমন্ত্রী (অস্ত্রপ্রধান) ওলেকসান্দর কামিসিন, বিচারমন্ত্রী ডেনিস মালিউসকা, পরিবেশ সুরক্ষামন্ত্রী রুসলান স্ট্রিলেটস, উপপ্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টিফানিশাইনা এবং ইরিনা ভেরেশচুক। এছাড়া পদত্যাগ করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ তহবিলের প্রধান ভিটালি কোভাল। সামনে আরও পদত্যাগের ঘোষণা আসতে পারে।
সরকারে রদবদল নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, 'ইউক্রেনের লক্ষ্য অর্জনে সরকারে পরিবর্তন প্রয়োজন। সামনের শরৎকাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করতে হবে।'
চলতি মাসের শেষে যুক্তরাষ্ট্রে সফরের পরিকল্পনা রয়েছে জেলেনস্কির। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে নিজেদের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ উপস্থাপনের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
আইনপ্রণেতা ইয়ারোস্লাভ ঝেলেঝনিয়াক বলেছেন, পদত্যাগপত্রগুলো পার্লামেন্টারি কমিটি বিবেচনায় নেবে। এরপর পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবারের মধ্যে নতুন মনোনীতদের অনুমোদন দেয়া হতে পারে।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নতুন প্রার্থী মনোনীত করতে পারেন জেলেনস্কি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আন্দ্রিই সাইবিহারের নাম বেশ উচ্চারিত হচ্ছে।
বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা ইরিনা হেরাশ্চেনকো বলেছেন, 'এটি একটি মন্ত্রীবিহীন সরকার। সরকারে এখন বুদ্ধিবৃত্তিক ও জনবল সংকট চলছে। কর্তৃপক্ষ সমস্যার দিক থেকে নিজেদের দৃষ্টি সরিয়ে রেখেছে।'
চলতি বছরের শুরু থেকেই মন্ত্রীদের পদত্যাগ অথবা বরখাস্ত জনিত কারণে অন্তত ৫টি পদ খালি ছিল, এর মধ্যে কৃষি ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।