আনসার সদস্যরা টানা সাড়ে ১০ ঘণ্টা সচিবালয়ে উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে গিয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান।
আনসার সদস্যদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘স্বৈরাচারের ট্রাম্প কার্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।
তিনি রোববার নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখেন, প্রথমে মনটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আনসারদের দমন করতে ছাত্র-জনতার কেন যাওয়া লাগবে। এটা তো তাদের কাজ নয়।
‘আর্মি থেকে শুরু করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাহলে কাজ কী! তারা কোথায়! পরক্ষণেই ভুলটা ভেঙ্গে গেল। মিনিট সাতেক লেগেছে আবর্জনা পরিষ্কার করতে।’
‘এখন আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, স্বৈরাচার মাফিয়ার ষড়যন্ত্র যতদিন চলবে, ততদিন ছাত্র-জনতার রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ছাত্র-জনতার শক্তি আজ সবচেয়ে বড় এবং কার্যকর শক্তি। এর বিকল্প আপাতত আর কিছু নেই।’
‘আগামীকাল থেকে শাহবাগ আর সচিবালয় ঘেরাও করার শক্তি বা সাহস কেউ পাবে না। এটা নিশ্চিত বলতে পারি। স্বৈরাচারের ট্রাম কার্ড সব হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’