অগ্রহায়ণেই যেন শীত এসে গেছে। তাই বেড়ে যাচ্ছে ভ্রমণের ইচ্ছাও। কিন্তু শীতকালে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতে হবে। উপযুক্ত প্রস্তুতিও নিতে হবে। ভালো প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে ভ্রমণের আনন্দ।
তাই শীতে ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করতে প্রস্তুতির কৌশল জেনে নিন-
১. ভ্রমণে যাওয়ার আগে শুরুতেই স্থানের কথা ভাবতে হবে। শীতকালে ভ্রমণের জন্য কোন জায়গাগুলো উপযুক্ত।
২. মনে রাখতে হবে, ভ্রমণে কতদিনের জন্য যাবেন, কোথায় যাবেন, বাজেট কত, কাদের নিয়ে যাবেন, সেখানের সুযোগ-সুবিধা কেমন।
৩. ভ্রমণে কোন বাহনে যাবেন, এটি নির্বাচন করা জরুরি। যে পরিবহনেই যান না কেন, সবচেয়ে বেশি জরুরি জীবনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা।
৪. আপনার বাজেট, ভ্রমণসঙ্গী কতজন, কেমন পরিবেশে থাকতে চান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন বিষয়গুলো ভেবে আগেই থাকার সিদ্ধান্ত নেবেন।
৫. আগেই আবহাওয়া ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খরব নিয়ে যান। সেখানকার জরুরি ফোন নম্বর এবং লোকেশন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে রাখবেন।
৬. ওই এলাকায় পরিচিত কেউ থাকলে তার ফোন নম্বর নিয়ে যাবেন। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবেশ সম্পর্কে জেনে নেবেন।
৭. সঙ্গে কী নেবেন; তা নির্ভর করবে আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন তার ওপর। ব্যাগভর্তি জিনিস না নিয়ে দরকারি জিনিস নেওয়াই ভালো।
৮. প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি তালিকা করুন। তালিকা ধরে টিক চিহ্ন দিয়ে একটা একটা জিনিস ব্যাগে নিন। এতে দরকারি কোনো কিছু বাদ পড়বে না।
৯. শীতকালে গাঢ় রঙের মোটা তাপনিরোধক কাপড়ের তৈরি জামা পরুন। তবে খেয়াল রাখবেন শীতের কাপড়ের ওজন যত সম্ভব যেন কম হয়।
১০. ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য সঙ্গে মাফলার, মোজা, গ্লাভস, হুডসহ কাপড় পরতে পারেন। জুতার ব্যাপারে বাড়তি মনোযোগ দেবেন। আরামদায়ক কেডস হলে ভালো হয়। নারীরা হিল জুতা ব্যবহার না করাই ভালো।
১১. শীতে সর্দি-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি, নাকের প্রদাহ, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া, আমাশয়, অ্যাসিডিটি, বমি, মাথাধরা বা নিউমোনিয়া প্রভৃতি রোগ হয়। সম্ভব হলে প্রয়োজনমতো ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
১২. এ ছাড়া ব্যান্ড এইড, অ্যান্টিসেপটিক, পরিমাণমতো তুলা ও গজ নিন। প্রেসার, ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত নিন।
১৩. শীতকালে ভ্রমণে খাবার-দাবারের হাইজেনিক ফ্যাক্টর মাথায় রাখবেন। যে খাবারটি খাবেন তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা যাচাই করে নেবেন। সঙ্গে শুকনো খাবার রাখতে পারেন।
১৪. সঙ্গে সানস্ক্রিন নিতে ভুল করবেন না। শীতের রোদও ত্বকের সমান ক্ষতি করে। সন্ধ্যার পর বা বেশি রাত পর্যন্ত বাইরে থাকবেন না। অবশ্যই শিশুদের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।