স্পেন ভ্রমণে যে ভুল করলেই গুনতে হবে জরিমানা

ভ্রমণ ডেস্ক
  ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩১

স্পেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এই দেশে ভ্রমণ অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। পাহাড়, মালভূমি ও সমুদ্রের টানে সেখানে ভিড় করেন পর্যটকরা। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের আনাগোণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্পেনের বিভিন্ন এলাকা।
স্পেন ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ। অনন্য ইতিহাস ও সুন্দর স্থাপত্যসহ স্পেনে দেখার মতো নানা কিছু আছে। এ কারণেই পর্যটকরা ছুটে যান সেখানে। স্পেনের বার্সেলোনা সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন।
কাতালোনিয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় এই স্প্যানিশ শহরটি সুস্বাদু খাবার ও সমৃদ্ধ রেস্টুরেন্ট, আলোকিত রাত্রিযাপন, শৈল্পিক জাদুঘর ও ১৯ শতকের নানা স্থাপত্যের আবাসস্থলের জন্য বিখ্যাত।
তবে স্পেন ভ্রমণে যাওয়ার আগে অবশ্যই পর্যটকদের উচিত সেখানকার কিছু আইন সম্পর্কে জেনে যাওয়া। যদিও এসব আইন ও বিধি-নিষেধের বিষয়টি অন্যদের কাছে উদ্ভট লাগতে পারে, তবে স্প্যানিশরা কঠোরভাবে এসব আইন মেনে চলেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্পেনের আইনে যা কিছু নিষিদ্ধ-

সমুদ্রসৈকতে খেলা করা নিষেধ
সৈকতের দৃশ্য উপভোগ করা ও সমুদ্রস্নানের পর ব্যাগ গুছিয়ে তাৎক্ষণিক কেটে পরতে হবে সাগরপাড় থেকে। ভুলে সেখানে খেলাধুলা করার কথা ভাববেন না। কারণ তা নিষিদ্ধ স্পেন আইনে।

অর্ধনগ্ন হয়ে হাঁটা নিষেধ
বার্সেলোনার রাস্তায় বিকিনি, শার্টবিহীন কিংবা টপলেস পোশাক পরে হাঁটা নিষিদ্ধ। যদিও পর্যটকরা সৈকতপাড়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় থাকতে পারেন, তবে শহরে কেউই শার্ট ছাড়া হাঁটতে পারবেন না।
সমুদ্র সৈকত বা পুল ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ্যে টপলেস বা সাঁতারের পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে সেদেশের সরকার। ২০১১ সালে এই আইন পাস করা হয়। এরপরও আপনি যদি অর্ধনগ্ন হয়ে হাঁটেন তাহলে জরিমানা গুনতে হবে ২৬০ ইউরো অর্থাৎ ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নিষিদ্ধ নাম
নবজাতকের নাম ইচ্ছেমতো রাখার অধিকার সব অভিভাবকেরই আছে। তবে স্পেন আইন অনুযায়ী, শিশুর নাম কেই, জুডাস বা লেনিন রাখা যাবে না। এমনকি ঘরোয়াভাবেও এসব নামে ডাকা যাবে না শিশুকে।

গাড়িয়ে যৌনতাচর্চা নিষিদ্ধ
স্পেনের আইন অনুযায়ী গাড়িতে বসে কেউ যৌনতায় লিপ্ত হতে পারবেন না। যানবাহনে যৌনতা নিষিদ্ধ এ দেশে। স্পেন ভ্রমণে গেলে অবশ্যই এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে সবাইকে, না হলে বিপদে পড়তে পারেন!

কুকুরকে পাশে রেখে ভিক্ষা করা যাবে না
কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে বা পাশে বসিয়ে রেখে কেউ ভিক্ষা করতে পারবেন না স্পেনে। সে দেশের আইনে এটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত।