দিগন্তজোড়া সবুজ ক্ষেত, চারপাশে পাহাড় আর শুভ্র মেঘ স্থানটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সেখানে শুধু পাহাড় আর সবুজ প্রকৃতিই নয়, আরও দেখবেন ঝরনা, শুভ্র মেঘ, গোধূলির অস্তমিত লাল সূর্যের আভা। এছাড়া পাহাড়ি জনপদের জীবনযাপনের পদ্ধতিও কাছ থেকেই দেখতে পারবেন। বলছি নিউজিল্যান্ড পাড়ার কথা।
খাগড়াছড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে পানখাইয়া পাড়ার পাশেই অবস্থিত ‘নিউজিল্যান্ড পাড়া’। যদিও এই পাড়ার নামকরণের পেছনে তেমন কোনো কারণ নেই। পানখাইয়া পাড়া থেকে বের হয়ে পেরাছড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তাটাই হলো নিউজিল্যান্ড সড়ক।
এ সড়কের দু’পাশে আছে সবুজ ক্ষেত। পাহাড়ি এই স্থান এতোটাই সুন্দর যে, আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবেন মুহূর্তেই। এ কারণেই খাগড়াছড়ির এই স্থান পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
বিস্তৃত পাহাড়ি জুম ক্ষেত ও দূরে ছোট-বড় পাহাড়ের সারি দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। পানখাইয়া পাড়া আর পেরাছড়ার কিছু অংশ নিয়েই নিউজিল্যান্ড পাড়া গঠিত। দেখলে মনে হয় অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের এক টুকরো নিউজিল্যান্ড ঠাঁই নিয়েছে বাংলার বুকে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে সর্পিল এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া চেঙ্গী নদীর লালচে ঘোলা পানি আপনাকে অবাক করবে। কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছে চেঙ্গীর পানি। খাগড়াছড়ি ভ্রমণে গেলে পর্যটকরা ‘নিউজিল্যান্ড পাড়া’ থেকে ঘুরে আসতে ভোলেন না।
কীভাবে যাবেন নিউজিল্যান্ড পাড়ায় ও কোথায় থাকবেন?
ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে চড়ে প্রথমে পৌঁছাতে হবে খাগড়াছড়িতে। এরপর খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি বা অটোতে করে নিউজিল্যান্ড পাড়া যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ২০-৩০ টাকার মতো।
যারা এখান সাজেক ভ্রমণে যেতে চান, তারা চাইলেই অল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারবেন নিউজিল্যান্ড পাড়া থেকে। খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। সেখান থেকে বাজেটের মধ্যে হোটেল বা মোটেল খুঁজে নিন।