ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা ঈদে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে বেড়াতে আসছেন পাহাড়ে। সোমবার ঈদের দিন থেকেই শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বাইরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা বেশি।
ঈদের দিনে খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা, রহস্যময় গুহা, জেলা পরিষদ পার্ক, আনসার পার্কে ঘুরে দেখা যায়, পর্যটক সমাগম ছিল দেখার মতো। কথা বলে জানা যায়, এসব পর্যটকদের বেশির ভাগই স্থানীয়।
খাগড়াছড়ি শহরের সবুজবাগ এলাকার আবদুর রহমান জানান, তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের সবাই আনন্দ-উপভোগ করছে। আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে বাসায় ফিরবেন।
খাগড়াছড়ির হর্টিকালচার পার্কের ব্যবসায়ী টিটু চাকমা জানান, দীর্ঘ এক মাস রোজাতে পর্যটক না বাসায় তাদের ব্যবসা হয়নি। ঈদের দিনে পর্যটক আসায় বেচাবিক্রি বেড়েছে। যেহেতু আরও ছুটি আছে, তাই পর্যটক সমাগম আরও বাড়তে পারে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, ‘ঈদের দিনে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক এসেছে, যা আগামী কয়েকদিন আরও বাড়বে।’
খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থৈই অংগ্য মারমা জানান, ঈদের দিনে তাদের পার্কে প্রায় দুই হাজার পর্যটক এসেছেন। আগামীতে আরও আসবে। পর্যটক আকর্ষণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা নিশাত রায় জানান, পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ঘুরতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়েছে টুরিস্ট ও জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপার (এসপি) জুয়েল আরেফিন জানান, পর্যটকদের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে স্পেশাল টিম মোতায়েন আছে।