সকালের সূর্যটা আধো আধো করে উঠছে। রক্তিম আকাশ ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে নীল। আধো আলো ছায়ায় ভাসছে পরিবেশ। বইছে শীতল বাতাস। সকালে প্রাত ভ্রমণে বের হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে সমুদ্র। ছোট ছোট ঢেউ আলতো করে আছড়ে পড়ছে তীরে। তার উপর উড়ে বেড়াচ্ছে হরেক প্রকারের রঙবেরঙের পাখি। এ যেন এক স্বপ্নের রাজ্য। দৃশ্যটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মারমারা সমুদ্র সৈকতের।
পাখি আর দর্শনার্থীদের সৈকত তুরস্কের মারমারা
সরেজমিন দেখা গেছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ঘুরতে আসেন। এখানকার আকাশের পাখিগুলো যেন মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে পরিচিত। পাখি আর মানুষের আচরণই বলে দেয় তারা একে অপরের কতো প্রিয়! একেবারেই কাছে এসে বসলেও উড়ে যায়না পাখিগুলো। আবার অনেক পাখিপ্রেমী মানুষ তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসেন খাবার।
পাখি আর দর্শনার্থীদের সৈকত তুরস্কের মারমারা
তেমনি একজন মোহাম্মদ বিন সাঈদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পাখিগুলো আমার দেশপ্রিয়। শুধু আমি নয়, এমন শত শত পাখিপ্রেমী রয়েছে যারা প্রতিদিন সকাল, বিকাল ও দুপুরে খাবার নিয়ে সৈকতে আসেন। তাদের দেখলেই পাখিগুলো বুঝতে পারে যে তাদের খাবার দাদা চলে এসেছে। এতে আমরা অনেক আনন্দ পাই। পাশাপাশি এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সেবা করা হয় বলে আমি মনে করি।
পাখি আর দর্শনার্থীদের সৈকত তুরস্কের মারমারা
মারমারা সমুদ্র সৈকতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের শতশত মানুষ ঘুরতে আসেন। তার পাশেই রয়েছে অসংখ্য থাকার হোটেল। ভ্রমণপিপাসুরা এসব হোটেলে প্রতিদিন ভিড় করেন। কিন্তু দর্শনার্থীদের ভিড়ে হোটেলগুলোতেও কমপক্ষে ১৫ দিন থেকে একমাস আগে বুকিং দিতে হয়।
পাখি আর দর্শনার্থীদের সৈকত তুরস্কের মারমারা
ইরান থেকে ঘুরতে এসেছেন ফোরকান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তুরস্কের অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এই মারমারা সমুদ্রসৈকতের পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদ। সেটি দেখে এখন সমুদ্র সৈকতে এসেছি। বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি। আর পাখিদের সাথে খেলা করছি।
পাখি আর দর্শনার্থীদের সৈকত তুরস্কের মারমারা
শুধু পাখি নয়, সৈকতের বিভিন্ন অংশে বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীরও দেখা মিলল। যেগুলো দর্শনার্থীদের খুব প্রিয়। আবার এদের সেবা করার জন্যও বহু প্রাণীপ্রেমীদের দেখা গেছে।
সৈকতে থেকে নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্রুজ জাহাজ। যেগুলো দিয়ে যাত্রীরা সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। প্রতিদিন শত শত যাত্রী এখানে ভিড় করতে দেখা যায়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় স্থানটি দৃষ্টিনন্দন সাজে সেজে ওঠে।