থাইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এছোড়া সেখানকার আকাশছোঁয়া দালান, রাতের জীবন, সংস্কৃতি সব কিছুতেই আগ্রহ আছে পর্যটকদের। এছাড়া থাইল্যান্ড ভ্রমণের মূল কারণ হলো অনেক কম খরচেই পর্যটকরা সেখানে ভ্রমণে যেতে পারেন।
তার উপর উড়াল দিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সেখানে পৌঁছনো যায়। এসব মিলিয়েই থাইল্যান্ডে বাঙালি পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আপনিও যদি এরই মধ্যে থাইল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে সেখানে যাওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
শুধু থাইল্যান্ড কেন, বিশ্বের যেখানেই ভ্রমণে যান না কেন সঙ্গে কিছু জরুরি ডকুমেন্ট অবশ্যই রাখুন। না হলে বিপদে পড়তে পারেন। জেনে নিন কী কী ডকুমেন্ট এক্ষেত্রে সঙ্গে রাখবেন-
মেয়াদসহ পাসপোর্ট
বিদেশ ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি পাসপোর্ট। চেষ্টা করতে হবে অন্য দেশে যাওয়ার সময় যেন অন্তত ছ’মাস পাসপোর্টের মেয়াদ থাকে। এই ব্যাপারে এক এক দেশের এক এক রকম নিয়ম। থাইল্যান্ডে প্রবেশের জন্য আপনার পাসপোর্টে অন্তত একমাস মেয়াদ থাকতে হবে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন বিমান পরিবহণ সংস্থা ও থাইল্যান্ডের অভিবাসন দফতর বেশ কড়া। পাসপোর্টের মেয়াদ এক মাসের কম থাকলে থাইল্যান্ডে পৌঁছেও ইমিগ্রেশনে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে পাসপোর্টের মেয়াদ যথাযথ আছে কি না দেখুন।
ভিসা
বিদেশের মাটিতে থাকতে ও ঘুরতে গেলে ভিসা প্রয়োজন। একেক দেশে ভিসার নিয়ম-কানুন একেক রকম। আবার থাইল্যান্ডের ভিসার নিয়মও দেশভেদে ভিন্ন। কোথাও ভিসা বিনামূল্যে পাওয়া যায়, আবার কোথাও আগাম ভিসা করাতে হয় এমনকি কোথাও সেই দেশে পৌঁছনোর পর।
অন্য দেশে পৌঁছে ভিসার সুবিধা শুধু পর্যটকরাই পান। এজন্য সঙ্গে আপনার ভোটার আইডি কার্ড, বৈদ্যুতিক বিলের কাগজ, ছবিসহ অন্যান্য জরুরি নথিপত্র রাখুন।
হোটেল বুকিংয়ের কপি
থাইল্যান্ডে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশনে আপনাকে জানাতে হবে কোথায় ওঠবেন। তাই হোটেল সংক্রান্ত সব কাগজ সঙ্গে রাখুন। হোটেলে যে বুকিং নিশ্চিত করা হয়েছে, সে সংক্রান্ত নথিও সঙ্গে রাখুন।
সব বুকিংয়ের কাগজ সঙ্গে রাখুন
প্লেনের টিকিটসহ জরুরি সব বুকিংয়ের কাগজ হাতের কাছে রাখুন। অনেক সময় অভিবাসন দফতর তা দেখতে চাইতে পারে। সঠিক কাগজ না পেলে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই দেশে ফেরার নির্দেশ দিতে পারেন ইমিগ্রেশন অফিসার।
ইনস্যুরেন্স
বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স খুব জরুরি। বিদেশে অসুস্থ হয়ে পড়লে, ব্যাগপত্র হারিয়ে গেলে বা কোনো কারণে যাত্রা বাতিল করতে হলে অনেক খরচ হতে পারে। এক্ষেত্রে ইনস্যুরেন্স করা থাকলে, প্রয়োজনের সময় অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। আবার ক্ষতিপূরণও মেলে।
যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের মুদ্রাতেই জিনিসপত্র কেনাসহ যাবতীয় কাজ করতে হয়। এজন্য মুদ্রা বিনিময়ের প্রয়োজন। মুদ্রা বিনিময় যে সঠিক পথে হচ্ছে তার প্রমাণস্বরূপ কাগজ রাখা দরকার। বিদেশে যদি পুলিশ ও প্রশাসনের এ নিয়ে সন্দেহ হয় তাহলে বিপদে পড়তে পারেন।