বিশ্বের যেসব দেশে নেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভ্রমণ ডেস্ক
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩২

আজকের বিশ্বেও এমন কিছু দেশ আছে যেখানে রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এর মূল কারণ হলো সেসব দেশের রেলপথ নির্মাণ সহজ হয়নি বিভিন্ন কারণে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি দেশ সম্পর্কে-

আইসল্যান্ড

আইসল্যান্ড তার শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর অত্যাশ্চর্য ল্যান্ডস্কেপ, হিমবাহ ওগিজারের জন্য বিখ্যাত। তবে সে দেশেও কিন্তু রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নেই। ফলে তারা সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভরশীল। মূলত ওই দেশের ক্ষুদ্র জনসংখ্যা ও আগ্নেয়গিরি এমনকি ভূখণ্ড রেলপথের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অনুপোযোগী।

ভুটান

পূর্ব হিমালয়ে অবস্থিত, ভুটানের রুক্ষ ভূখণ্ড রেলপথ নির্মাণের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। উঁচু পাহাড়ি পথ, খাড়া উপত্যকা ও সীমিত সমতল ভূমির কারণে এখানে রেলওয়ে ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ নয়। আর এ কারণেই ভুটান সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভরশীল।

সাইপ্রাস
সাইপ্রাস দ্বীপটি তার রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে একটি অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সে দেশে ১৮৫১-১৯০৫ সাল পর্যন্ত একটি রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ছিল, তবে অর্থনৈতিক কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপরে সাইপ্রাস মাইন কর্পোরেশন দ্বারা রেললাইন সম্প্রসারণ শুরু হয়, যা আবার ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সেখানকার নাগরিকরা সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভরশীল।

মালদ্বীপ
ভারত মহাসাগরে প্রবালপ্রাচীরের একটি শৃঙ্খল নিয়ে গঠিত একটি দেশ হলো মালদ্বীপ। যেখানে নেই কোনো রেল ব্যবস্থা। যেহেতু এর স্থলভাগ বেশ ছোট ও চারদিকে বিপুল জলরাশি, তাই সেই রেলওয়ের ব্যবস্থা করার সুযোগ কম। সেখানকার জনগণ সামুদ্রিক বিমান ও নৌকায় চড়েই নিয়মিত চলাফেরা করেন।

পাপুয়া নিউ গিনি
দূরবর্তী দ্বীপ ও ঘন জঙ্গলের কারণে পাপুয়া নিউ গিনির বৈচিত্র্যময় ভূ-সংস্থান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণের উপযোগী নয়। এমনকি সেখানকার সড়ক অবকাঠামোও সীমিত। এ দেশের জনগণ আকাশ ও সমুদ্রপথে নির্ভরশীল।

মোনাকো
মোনাকো একটি ক্ষুদ্র রাজ্য। ফ্রেঞ্চ রিভেরার উপর অবস্থিত। দেশটি ছোট হওয়ায় এর নগরীকৃত ল্যান্ডস্কেপ রেলওয়ে নির্মাণ উপযোগী নয়। মোনাকোর বাসিন্দারা মূলত সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভর করে।

অ্যান্দোরা

জনসংখ্যার দিক থেকে এটি ১১ তম ক্ষুদ্রতম জাতি ও ভূমি আয়তনের দিক থেকে ১৬ তম। তবুও সেখানে রেলের অবকাঠামোর গড়ে ওঠেনি।
সেখানে একটি ফরাসি রেলওয়ে সংযোগ আছে, তবে তার সীমানার মধ্যে মাত্র ১.২ মাইল। এর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশনটি ফ্রান্সের সঙ্গে আন্দোরা-লা-ভেলার বাস সার্ভিসের মাধ্যমে সংযোগ করে।