যে কারণে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বহিষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০১ মে ২০২৪, ২০:৩৬
আপডেট  : ০১ মে ২০২৪, ২১:৪৬

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
নুহার বাবা মনির হোসেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম জেলার স্বন্দ্বীপ উপজেলাতে তার গ্রামের বাড়ি। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন। তিনি আরো জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। 
তিনি আরো জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।