ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা দিলেন বাইডেন

আমেরিকায় ইহুদিবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৪ মে ২০২৪, ১১:৫৬

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বিক্ষোভকারীদের আইনের শাসন বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমেরিকায় ইহুদিবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। ইহুদি শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানো যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ থেকে দেওয়া এক টেলিভিশন বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। খবর : ডয়েচে ভেলে, আলজাজিরার।
জো বাইডেন বলেন, সহিংসতা, অনুপ্রবেশ, জানালা ভাঙচুর করা, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া, ক্লাস বাতিল এবং স্নাতক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য করা এর কোনোটিই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়। মানুষকে হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো, মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করাও কোনো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়।
তিনি বলেন, ভিন্নমতের মাধ্যমে বিরোধিতা করা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু এর মাধ্যমে কখনোই বিশৃঙ্খলা বা অন্যের অধিকারকে অস্বীকার করা যায় না, যাতে শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার এবং তাদের কলেজের শিক্ষা শেষ করতে না পারে। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অধিকার তাদের নেই।
বাইডেনের এ বক্তব্যে হতাশ হলেও অবাক হননি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। জর্জ ওয়াশিনটন ইউনিভার্সিটির এক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী কালি যেমনটা বলেছেন, তার বক্তব্যে হতাশ হয়েছি। তবে অবাক হইনি। বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এভাবে সমালোচনা করাটা আসলেই হতাশাজনক। তারা আমাদের আরব, মুসলমান, ফিলিসি্তনি আর ইহুদিবিরোধী তরুণ বলে চিহ্নিত করছে।
বাইডেনের বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে হতাশ হয়েছেন কলেজ ডেমোক্রেটস অব আমেরিকার মুসলিম ককাস চেয়ারপারসন হাসান পিরালিও।
তিনি বলেছেন, আমাদের মতে গণহত্যার বিরোধিতা করা ভালো পলিসি নয়। এটা নিয়ে ভালো রাজনীতি হতে পারে। কিন্তু তিনি কোনোটাই করেননি। আর এটা দেখে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি।
তিনি বলেন, আমি সবচেয়ে হতাশ হয়েছি এটা শুনে যে, বাইডেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে তিনি মধ্যপ্রাচ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করবেন না। আমরা কেবল বলতে চাই, তিনি নীতি পরিবর্তন না করলে ২০২৪ সালে ডেমোক্রেটদের অনেক কিছু হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।