বাপার বার্ষিক ডিনারে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র

সিটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে বাংলাদেশিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩০

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, আমেরিকা হচ্ছে এমন একটি দেশ যেখানে বসতি গড়তে হলে মাতৃভূমির মায়া-মমতা ত্যাগের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এ দেশটিকে নিজের মনে করতে পারলে প্রিয় মাতৃভূমিকে এখানেই নিয়ে আসা যায়। আমেরিকার মহাত্ম এভাবেই মহিমান্বিত হচ্ছে বহুজাতিক সমাজে নিজ নিজ সংস্কৃতির ধারা প্রবাহিত রাখার মধ্য দিয়ে। নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন।
নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি আমেরিকানদের সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা), ষষ্ঠ বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড ডিনার’ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র অ্যাডামস। সম্প্রতি নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের একটি অভিজাত পার্টি হলে এই অনুষ্ঠান হয়।
নিউইয়র্ক পুুলিশ বাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের প্রশংসা করে মেয়র বলেন, আপনারা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলেই এই সিটির জনজীবনকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে নিজ কমিউনিটির সকলের প্রতি যাতে ভিন্ন কমিউনিটির লোকজনের শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর এভাবেই সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন সুসংহত হলে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই সিটির ইমেজ আরো উজ্জ্বল হবে।
এরিক অ্যাডামস বলেন, নিজের ভাষা, সংস্কৃতিকে কখনো ছোট ভাববেন না। তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। বিশেষ করে এদেশে বেড়ে উঠা অথবা জন্মগ্রহণকারি প্রজন্মও গৌরববোধ করবে তার মা-বাবার সমাজ নিয়ে। নিউইয়র্ক সিটিতে বহু ভাষা ও বহুবর্ণ আর বহু জাতির মানুষ বাস করছে। সবকিছু মাড়িয়ে আমি খুব সহজেই বাংলাদেশি আমেরিকানদের দেখতে পাই তাঁদের কর্মনিষ্ঠা আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গৌরবে আমার বুকটা ভরে যায়, যখন এই সিটির নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে থেকে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের সদস্যগণের ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য শুনি। সকলেই প্রশংসা করেন প্রতিটি পুলিশ অফিসারের কর্মনিষ্ঠা-দায়িত্ববোধের বিষয়ে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং কনসাল জেনারেল হিসেবে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। এজন্য আমি বাপার প্রতিটি সদস্য-কর্মকর্তাকে অভিবাদন জানাচ্ছি।