গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তায় রেকর্ড ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত আরও বেড়ে চলছে।
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বছর আগে ইসরায়েলে ঢুকে ১,২০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করে। অনেককেই করা হয় জিম্মি। এরপর ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এরপর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে লেবাননেও হামলা চালায় ইসরায়েল। ব্যাপক হারে হামলা বাড়ানোর পর থেকে দেশটিতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ১,৪০০ লোক নিহত হয়েছে।
কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক ইসরায়েল ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার বৃহত্তম গ্রহীতা। ১৯৫৯ সাল থেকে তারা সার্বিক হিসাবে ২৫১.২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে সহায়তা করা ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার এক বছরে ইসরায়েলে পাঠানো সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা।
১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও মিশরের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর দুই দেশেই শত শত কোটি সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ওবামা প্রশাসন ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের জন্য বার্ষিক ব্যয় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছিল।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন সহায়তার মধ্যে রয়েছে সামরিক অর্থায়ন, অস্ত্র বিক্রি, মার্কিন মজুদ থেকে কমপক্ষে ৪.৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও নানা সরঞ্জাম হস্তান্তর। এ বছর সরবরাহ করা মার্কিন অস্ত্রের বেশিরভাগই ছিল যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি শেল থেকে শুরু করে ২,০০০ পাউন্ড বাঙ্কার-বাস্টার এবং নির্ভুল-গাইডেড বোমা। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ও ডেভিড'স স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাইফেল ও জেট ফুয়েল কিনতে ৪০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।