রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন তারা। ক্যাম্পাসে থেমে থেমে বিক্ষোভ চলছে।
আজ রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে এই বিক্ষোভে যোগ দেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, হামলার শিকার হওয়ার পর প্রশাসনের কাউকেই পাশে পাননি তারা। একই সাথে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের প্রতিবাদও জানান তারা।
এসময় প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভ থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কাজ করছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জরুরি বৈঠকে বসছি।’
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।’
রাজশাহী পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিনোদপুর বাজারে পুলিশ মোতায়েন আছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই জন্য পুলিশ কাজ করছে।’
শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার পর ১২ ও ১৩ মার্চ সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার রাতে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে এই ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
গতকাল শনিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় স্থানীয় কয়েকটি দোকান ও পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।