সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেস (CMS)-এর নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মেহমেত ওজ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবার খরচ নিয়ন্ত্রণ ও কার্যকর সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন নাগরিকদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে সহায়তা করতে চাই, তবে সে কর্মসূচি টেকসইও হতে হবে।’
ড. ওজ সরাসরি প্রশ্ন তোলেন- ‘ক্যালিফোর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ কেনো মিসিসিপি, টেক্সাস কিংবা ফ্লোরিডার করদাতাদের বহন করতে হবে?’
তাঁর মতে, ২০২৩ সালে সরকারী হিসেব অনুযায়ী, ভুল পেমেন্ট বা অপচয়ের পরিমাণ ছিল ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা দশ বছরে দাঁড়াতে পারে ৫০০ বিলিয়নেরও বেশি। এসব অপচয় বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল আমরা সিস্টেমকে পরিষ্কার করতে পারবো।’
সিএমএস-এর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, যেসব অঙ্গরাজ্য মেডিকেইড ফান্ড থেকে স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া অন্যান্য খাতে যেমন ইন্টারনেট পরিষেবা বা হাউসকিপিংয়ের জন্য অর্থ ব্যয় করতো, তাদের জন্য আর কোনো ফেডারেল অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে না।
একইসঙ্গে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সম্প্রতি যেসব আইন পাস করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেডিকেইড সংস্কারও। তবে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে হাউস মাইনরিটি লিডার হাকিম জেফরিস এই পদক্ষেপকে ‘মেডিকেইডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কাটছাঁট’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭৯ মিলিয়ন মানুষ মেডিকেইড-এর আওতায় স্বাস্থ্যসেবা পান। যার ফেডারেল খরচ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৫৮৪ বিলিয়ন ডলার।
ড. ওজ-এর নেতৃত্বে এই বিশাল খাতের ব্যয় ও সেবাদান পদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।