গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতির (৩২) মরদেহ তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে টঙ্গীর শালিকচূড়া বিল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহিন আলম বলেন, ফারিয়া তাসনিম যে ড্রেনে পড়েছিলেন, সেই ড্রেনের পানি শালিকচূড়া বিলে গিয়ে পড়ে। সকালে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাঁর মরদেহটি পাওয়া যায়।
ফারিয়া তাসনিম চুয়াডাঙ্গার সদর থানার বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিম উল্লাহ আহমেদের মেয়ে। তিনি টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ বিপণনের কাজে এসেছিলেন। একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি নালার অংশে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ঢাকনা ছিল না। ছিল না কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও। গত রোববার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত ফারিয়া তাসনিম ওই খোলা নালায় পড়ে যান। পানির প্রবল স্রোতে তিনি নিখোঁজ হন। দুর্ঘটনার পরপরই গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। অবশেষে আজ সকালে শালিকচূড়া বিলে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন ও বিআরটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁরা বলেন, এমন ব্যস্ত এলাকায় খোলা ড্রেন রেখে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত নারীর বড় ভাই মো. শোভন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বিভিন্নভাবে খোঁজ করতে থাকি। একপর্যায়ে সোমবার সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বোনের ব্যবহৃত জুতা পেয়ে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ নারীর লাশ উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।