
জুলাই বিপ্লবের সময় সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার রায়ের পর হাইকোর্টের সামনে উপস্থিত জনতাকে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তে দেখা গেছে। সে সময় ‘এই মাত্র খবর এলো, খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো’ স্লোগান দিতে দিতে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। একদল ছাত্র-জনতা হাইকোর্টের সামনেই সেজদা দিয়ে ও মোনাজাত করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
গণসেজদার পর মোনাজাতে ‘মঞ্চ ২৪’ এর আহ্বায়ক ফাহিম ফারুকী বলেন, ‘আল্লাহ আরশের মালিক, রহমতের ছোঁয়ায় আমাদের বাংলাদেশকে তুমি রক্ষা করো। এখানে দাঁড়িয়ে আছে যারা, আল্লাহ যারা গুম ছিল, যাদের জীবন থেকে যৌবনের সুন্দর সময়টুকু কেটে গেছে। শেখ হাসিনা আমাদের এই জীবন থেকে যে সময়টুকু নিয়েছে, তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জনতার সামনে জাহান্নামের আজাব দিয়ে দিও।’
মোনাজাতে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ, যাদেরকে এই মাটিতে আলেমদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে, পশুর মত তাদেরকে জবাই করা হয়েছে। আল্লাহ তুমি দেখেছো। দিন শেষে তুমি আমাদের বিজয় দিয়েছো। এখনো যারা অপরাধী আছে, আল্লাহ, এদের প্রত্যেককে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দাও। এই মাটিতে জুলাইয়ের বিচার যেন নিশ্চিত করতে পারি, সেই তৌফিক দান করো। এই মাটিতে যেন সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়। পৃথিবীর কেউ যেন আমাদের এই রাষ্ট্রের এক ফোটা দখল নিতে না পারে’।
এই মঞ্চের ব্যানারে রায় পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের উচ্ছ্বাস বুঝাতে পারব না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ন্যায়বিচার পেয়েছি। এই বিচার কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমার প্রশান্তি আসবে না, তারপরও আমি হাসতেছি। এ বিপ্লবের একমাত্র মাস্টামাইন্ড মহান আল্লাহ, তিনিই বিচার দিয়েছেন। আমরা সবাই শুকরিয়া আদায় করেছি সেজদা দিয়ে।
প্রধান উপদেষ্টা আইনি সহায়তার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। হাসিনুর বলেন, হাসিনাকে আনার জন্য ভারতীয় জনগণের সহায়তা খুব প্রয়োজন। ভারতীয় জনগণ আমাদের ইনশাল্লাহ সহায়তা করবে, পশ্চিমবঙ্গের লোক আমাদের সহায়তা করবে। আমরা ন্যায়বিচার পাব। যদি না করে আমরা ভারতের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেব, ভারত আরামে থাকবে না’।