কীভাবে অ্যামেরিকানরা পাবেন ২,০০০ ডলারের শুল্ক লভ্যাংশ, জানাল ট্রাম্প প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০১

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২,০০০ ডলারের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা) ‘ট্যারিফ বা শুল্ক লভ্যাংশ’ নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রশাসন।
সম্প্রতি সাম্যাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, এই ট্যারিফ লভ্যাংশ উচ্চ আয়ের মানুষ ছাড়া অন্যান্য অ্যামেরিকানদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ হতে পারে। যেমন - কর ছাড় বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে।
এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, তিনি এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ট্যারিফ লভ্যাংশ বিষয়ে সরাসরি কথা বলেননি, তবে তিনি কয়েকটি ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত করেছেন, যেখান থেকে এই অর্থনৈতিক সুবিধা আসতে পারে।

ট্যারিফ লভ্যাংশ কীভাবে বিতরণ করা হবে
বেসেন্ট বলেন, ‘এই ২,০০০ ডলারের লভ্যাংশ অনেকভাবে দেওয়া হতে পারে। এটি প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় থাকা কর-ছাড়ের মাধ্যমেও আসতে পারে। যেমন - টিপসের ওপর কোনো কর নয়, ওভারটাইমের আয়ের ওপর কর নয়, সামাজিক সুরক্ষা ভাতায় কর নয়, এমনকি গাড়ি কেনার ঋণের ওপরও কর ছাড়ের সুযোগ থাকতে পারে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রবিবার তার ট্যারিফ নীতিকে সমর্থন করে দাবি করেন, কঠোর শুল্কনীতির ফলে অ্যামেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে ‘ধনী’ ও ‘সম্মানিত’ দেশে পরিণত হয়ে উঠেছে।
ট্রাম্প তার বিরোধীদের ‘মূর্খ’ আখ্যা দিয়ে দাবি করেন, ধনী শ্রেণি ছাড়া প্রতিটি আমেরিকান শিগগিরই তার প্রশাসনের আদায় করা শুল্ক রাজস্ব থেকে অন্তত ২,০০০ ডলার করে পাবেন।
ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বেসেন্ট বলেন, ‘আগামী কয়েক বছরে আমরা ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, শুল্কারোপের আসল লক্ষ্য হলো বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালতের সিদ্ধান্তে অনেক শুল্ক বাতিল হতে পারে। ফলে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফেরত দিতে হতে পারে। যা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ওপর বড় আঘাত হিসেবে আবির্ভূত হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, যদি সর্বোচ্চ আদালত তার বিপক্ষে রায় দেয়, তবে সেটি হবে এক বড় বিপর্যয়।