যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন

খাদ্য সহায়তা ও বিমানে ব্যাপক প্রভাব

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:০৩

যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের অচলাবস্থা (শাটডাউন) জনজীবন ও সেবা খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে চার কোটি ২০ লাখ নিম্ন-আয়ের আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কর্মী সংকটে বিমান চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এ অচলাবস্থা দেশের নির্বাহী, বিচার বিভাগ ও আইনসভার মধ্যে সংঘাতের কারণ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার একটি আদেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে আপাতত প্রায় ৪০০ কোটি ডলার তহবিল আটকে রাখার অনুমতি দিয়েছে। এটা নভেম্বরে পুষ্টি সহায়ক কর্মসূচির জন্য প্রয়োজন ছিল।
বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন নিম্ন আদালতের সেই আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। আদেশে মার্কিন কৃষি দপ্তরকে খাদ্য সুবিধার সম্পূর্ণ অর্থ দ্রুত পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। বিচারপতি জ্যাকসনের এই স্থগিতাদেশ নিম্ন আদালতকে সহায়তা পর্যালোচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দিচ্ছে। সিদ্ধান্তটি সাময়িক। তবে এটি লাখ লাখ মার্কিনিকে ঝুঁকির মুখ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন আকস্মিক তহবিল ব্যবহার করে আংশিক সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই আইনি লড়াই সরকারের অচলাবস্থার স্পষ্ট প্রভাব।
এদিকে অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন পরিবহন সচিব শন ডাফি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অচলাবস্থা শেষ না হলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হতে পারে।
এ অচলাবস্থায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মীকে বেতন ছাড়া কাজ করতে হচ্ছে। ফলে কর্মীদের মধ্যে অনুপস্থিতির হার বাড়ছে। একজন ফেডারেল বিমান প্রশাসক জানিয়েছেন, প্রতিদিন ২০ থেকে ৪০ শতাংশ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার কাজে আসছেন না। এদের অনুপস্থিতিতে শুক্রবার দশটি বিমানবন্দরে কয়েকশ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৩০০ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
এভিয়েশন প্রশাসক আরও জানান, ৪০টি বিমানবন্দরে শুক্রবার থেকে ৪ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ হার ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ১০ শতাংশে উন্নীত হবে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেছেন, শাটডাউন আমেরিকাকে থামিয়ে দিয়েছে।
পরবর্তী অর্থবছরের জন্য বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ হওয়ায় ১ অক্টোবর থেকে এই অচলাবস্থা চলছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ২০ শতাংশ কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রশাসন ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যবীমা ভর্তুকি নিয়ে রিপাবলিকানদের দোষারোপ করছেন।