রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩১

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সংগঠন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রথম প্রহরেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। সকাল হতেই বাড়তে থাকে মানুষের ঢল। তবে সরেজমিনে সকালে রায়েরবাজারে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের চেয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল, ঢাকা কমার্স কলেজ, মোহাম্মদ শারীরিক শিক্ষা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মোহাম্মদ শারীরিক শিক্ষা কলেজের শিক্ষার্থী রাব্বি হোসেন বলেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছে। আমরা তাদের স্মরণে এখানে ফুল দিতে এসেছি।”
ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, “এ জাতি কখনও রাজাকার আল-বদর, আল শামসদের ক্ষমা করবে না। তাদের কারণে বহু শিক্ষক, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক হত্যা করতে পেরেছিল পাকিস্তানিরা।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, “১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষপর্যায়ে এসে পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না। তখন তারা সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দেশকে অঙ্কুরেই দুর্বল করে দিতে এক হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তাদের বাসা থেকে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে।”
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, “বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এ জাতি তাদের সূর্যসন্তানের ততদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মনে প্রাণে একাত্তর ধারণ করা উচিত।”
এদিকে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী বধ্যভূমি-স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশসহ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) রয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে। গেটে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হচ্ছে সবাইকে। এছাড়া রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধের পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।