বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে রুহুল কবির রিজভী

জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।এ সময় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার যে লড়াই করছে সেটা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। 
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে সারাদেশে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বুধবার রিজভীর নেতৃত্বে গুলশান ২ নম্বর থেকে পিং সিটি হয়ে এক নম্বর পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।  
লিফলেটে গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন দাবি করা হয়। 
রিজভী বলেন, ‌‘আজকে বাংলাদেশ এক চরম অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। আপনারা দেখছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে। তামাশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আর গতকাল বাংলাদেশের তিনটি ছাগল নাকি তাদের সীমানার ভেতরে গেছে, সে তিনটি ছাগল ধরে তারা ফেরত দিয়েছে। এটি তামাশা। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আজকে তামাশা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ওদিকে টেকনাফ সীমান্তে মুহুর্মুহু গুলাগুলি চলছে। সীমান্তে বাংলাদেশের কৃষকরা কাজ করতে পারছে না। কৃষকরা ভয়ে দিন কাটাচ্ছে আর আমাদের সরকার নিরব। তারা হাত গুটিয়ে বসে আছে। একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করার সাহস তাদের নেই। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’
ছাত্রলীগের অপকর্মের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সারাদেশে এখন সামাজিক নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যৌন আনন্দের উৎসবে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। কুষ্টিয়াতে এক যুবককে ১০ টুকরা করেছে ছাত্রলীগের সজিব, সে নিজেই স্বীকার করেছে। এখন শুধু বিএনপির ওপর আক্রমণ করছে না তারা, লুটের টাকা ভাগাভাগি করতে নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দখলদার সরকার ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন করে তারা মনে করেছে সারা বাংলাদেশের জমিদার হয়ে গেছে। এ জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থামবে না। কারণ, এ ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
আজকে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো যে আন্দোলন করছে, যে লড়াই করছে সেটি নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। সেটি হলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই, জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকূল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, কাজী রফিকুল ইসলাম রফিক, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম মাসুম শান্ত, কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপি নেতা আশফাকুল ইসলাম সরকার (মনু), ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, রেহেনা আক্তার শিরিন প্রমুখ।