অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, যেকোনো তথ্য বা সংবাদ প্রচারের আগে যাচাই করে নিতে হবে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপতথ্য বা গুজব দ্রুত ছড়ায়। সমাজে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি ও দেশের ক্ষতি হয়। গণমাধ্যমের নেতা ও সবাই মিলে অপতথ্য রোধ করতে হবে। গণমাধ্যমের নেতারা নতুন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে পারে। সাংবাদিকরা সর্বজনীন পেনশনের প্রগতি স্কিমে যোগ দিতে পারে। সাংবাদিকদের জন্য আপনারা যে আলাদা পেনশন স্কিমের দাবি করছেন, সে বিষয়ে ভেবে দেখব।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অগ্রগতি ও ভাগ্য পরিবর্তন সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রীর রূপান্তরকারী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল ইত্যাদি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
শনিবার (৬ জুলাই) চট্রগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্রগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য ২০১৪ সালে প্রাথমিকভাবে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এই ট্রাস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫১০ সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মধ্যে প্রায় ৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। একই ব্যক্তি যেন ট্রাস্ট থেকে বার বার সহায়তা না পায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের এমডি সুভাষ চন্দ্র বাদল, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং চট্রগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবের নেতারা বক্তব্য দেন।
এ সময় অনুদানপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত চট্রগ্রামের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন সাংবাদিকের মধ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত ১১.৫০ লাখ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।