বাংলা সনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদযাপনকে স্বীকৃতি দিতে ১৪ এপ্রিলকে ‘বাংলা নববর্ষ’ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেট।
২৩৪ নম্বরের এই রেজ্যুলেশন বুধবার সর্বসম্মতভাবে সেনেটে পাশ হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
এর মধ্য দিয়ে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশিদের ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন এবং এ উপলক্ষ্যে কর্মসূচি নিতে আইনি কোন বাধা থাকলো না।
পাশ হওয়া রেজ্যুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, এমন একটি রেজ্যুলেশনের জন্য স্টেট সেনেটর লুইস সেপুলভেদার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নিউ ইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী বিশ্বজিৎ সাহা।
স্টেট সেনেট সূত্র জানায়, শীঘ্রই এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্র বিতরণ করবেন স্টেট গভর্নর ক্যাথি হোচুল।
বাংলা নতুন বছরকে ঘটা করে বরণ করতে নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেটের এ রেজ্যুলেশনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
তারা জানান, সর্বশেষ গত বছরও নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে শতকণ্ঠে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান হয় রাজধানী ঢাকার রমনার আদলে। কলকাতা, ঢাকা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার শিল্পীরা এতে অংশ নিয়েছিলেন। পর দিন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস।
এরও দুই দশক আগে থেকে মুক্তধারাসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে স্টেটের বিভিন্ন স্থানে পয়লা বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। পান্তা-ইলিশের আয়োজন ছাড়াও বাঙালি পোশাকে জড়ো হওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশিত হয় এসব অনুষ্ঠানে।