ফিলাডেলফিয়ায় ভাড়াটিয়ার হাতে বাংলাদেশি বাড়িওয়ালা খুন

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১

পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া শহরে ভিনদেশি এক ভাড়াটিয়ার হাতুড়ির আঘাতে মারা গেছেন এক বাংলাদেশি বাড়িওয়ালা। নিহত বাড়িওয়ালার নাম মো. একরামুল হক। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। একরামুল হকের দেশের বাড়ি চট্রগ্রাম শহরের হামজারবাড় এলাকায়। শনিবার দিবাগত রাত ১টায় ফিলাডেলফিয়া শহরের ৫৫৩৩ এনগোরা টেরাসে নিজ বাসায় খুন হন একরাম। পেশায় তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এবং ফেলাডেলফিয়া এয়ারপোর্টে কাজ করতেন।  

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে এনগোরা টেরাসে একটি তিন বেডরুমের বাড়ি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন একরাম। বাড়িতে হন্ডুরাসের বংশোদ্ভূত কার্লোস ও ডেভিড নামের অপর এক কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ৩ মাস ধরে কার্লোস বাসা ভাড়া দিচ্ছিলেন না।
শনিবার রাত ১টায় কাজ থেকে ফিরে একরামুল হক কার্লোসের কাছে ভাড়ার টাকা চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি হাতুড়ি দিয়ে একরামের মাথায় উপুর্যুপুরী আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে একরাম নিস্তেজ হয়ে বাসার মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। সারারাত ঘরের মেঝেতেই একরামের নিথর দেহ পড়ে থাকে।

সকাল ৭টায় ৯১১ এ কল পেয়ে পুলিশ সে বাড়িতে গিয়ে একরামের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় বাসার অন্য কক্ষ থেকে হত্যাকারী কার্লোসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সময় কার্লোস অতিরিক্ত মদ্যপ ছিলো।    
নিহত একরামুল হক ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরে একা বসবাস করে আসছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে থাকেন।
২৪ বছর আগে আমেরিকায় এসে আস্যালাইম কেসের মাধ্যমে ওর্য়াক পারমিট পাওয়ার পর ফিলাডেলফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হুইল চেয়ারের সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। চট্রগ্রাম সমিতি অব পেনসিলভেনিয়ার সভাপতি শেখ খোরশান জানান যে, দেশে তাঁর একটি মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছেন। 
একরামুল হকের মরদেহ ফিলাডেলফিয়া সিটি কাস্টোডিতে রাখা হয়েছে। চট্রগ্রাম সমিতি অব পেনসিলভেনিয়া তার মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রবাসীরা।