গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সংগঠক স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, একটি সমাজ একজন ব্যক্তির কারণে এগিয়ে যায় এ কথা ঠিক নয়। একটি সমাজ বা রাষ্ট্রে একজনের উদ্যোগেই সব হয়ে যায় ব্যাপাটা তা নয়। যদিও ছোটবেলা থেকে এই ভুল শিক্ষা আমরা পেয়ে এসেছি, এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। এটি একটি রাজনৈতিক শ্লোগান। রাষ্ট্র জন্ম দেওয়ার পর এ শ্লোগান আমরা পেয়েছিলাম। ৫৩ বছরে আমরা শিখেছি একজন ব্যক্তি যত যোগ্য ও ক্ষমতাশালী হন তিনি একটি রাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট নন। একটা রাষ্ট্রে অনেকগুলি শক্তি সমন্বিতভাবে ভূমিকা রেখে থাকে। নিউইয়র্কে এমনই এক সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন। এই সংগঠনের নেতৃত্ব, শৃংখলা, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রংকস এর খলিল চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজ ও আলাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল হাশেম হাসনু, সদ্য সাবেক সভাপতি আহবাব এইচ চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি সারওয়ার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ বদরুজ্জামান রুহেলসহ সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বাকার ২৩ জনের কমিটির প্রত্যেকেই একেকজন নেতা। পারস্পারিক সহিষ্ণুতা, একই চিন্তায় একীভূত হওয়া এই যোগ্যতাগুলোই তাদেরকে সফল করেছে। একজন নেতার এই বৈশিষ্টগুলো দরকার। সমাজে আমরা প্রত্যেকে অবদান রাখি। কেউ বেশি কেউ কম। কারোটা উজ্জল হয় কারোটা আলোচনায় আসে না। তিনি বলেন, সমাজের প্রচলিত ধারার সাথে গা না ভাসানোই একজন নেতার আদর্শ। সমাজের সব ধারার মধ্যে থেকে মিশে নতুন ঢেউ সৃষ্টি করাই একজন নেতার বড় দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাকা'র সহসভাপতি মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, মাকসুদা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ কামাল উদ্দিন, সোহেল আহমদ, এম ডি আলাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রনি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান জামান রানা, স্কুল ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সালমা সুমী, ক্রীড়া সম্পাদক শাহ্ ইকবাল রাজু, প্রচার ও গণসংযোগ সম্পাদক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক দুলাল রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন টিটু, সদস্য চৌধুরী মুমিত তানিম, সাংবাদিক শামীম আহমেদ, খলিল বিরিয়ানি হাউজের সিইও খলিল রহমান।