ওয়াশিংটনে পিঠা উৎসব ও বসন্ত বরণে মিলন মেলা

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫২

একদিকে বাঙালির পিঠা উৎসব-অন্যদিকে মতিহারের সবুজ চত্বরের স্মৃতিচারণ। সব মিলিয়ে আবেগী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে।'এসো মিলি শেকড়ের টানে, রাবিয়ানরা একসাথে' এই স্লোগানে ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ওয়াশিংটনের ঢাকা ক্লাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন অফ ওয়াশিংটন ডিসি।
উৎসবের সূচনা হয় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। তেলাওয়াত করেন, সংগঠনের  প্রতিষ্ঠাতা এস এম জাহিদুর রহমানের কন্যা জাফরা রহমান। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের  জাতীয় সংগীত, একুশের গান সম্মিলিতভাবে পরিবেশনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। শুরু হয় নিজেদের মধ্যে পরিচয় পর্ব। স্টেজে এসে একে একে তুলে ধরেন নিজের পরিচয়, জানান নিজের বিভাগ-হলসহ ক্যাম্পাসের নানা স্মৃতি। অনুষ্ঠানে এসে কেউ খুঁজে পায় তাদের বন্ধু, বড় ভাই-বোনকে। প্রবাসে যেখানে বাংলাদেশী মানুষ পেলে উচ্ছাসের ঘাটতি থাকে না, সেখানে ক্যাম্পাসের পরিচিত যেনকে পেয়ে যেন আনন্দ-উল্লাসের কমতি ছিল না।
ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে ও হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। হরেক রকমের পিঠাপুলির মধ্যে ছিল- পাটিসাপটা, ঝাল পুলি, পাকন পিঠা, সাবুদানার পিঠা, ফুলঝুরি, নকশী পিঠা, দুধ চিতই, ঝাল পিঠা, চন্দ্রপুলি, নারিকেল পুরি, কলার পিঠা, ভাপা পিঠাসহ আরো কত কি। যা উৎসবের আমেজে ষোলকলা পূর্ণ করে।অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপদেষ্টা মহিউদ্দিন আনোয়ার। শুভেচ্ছা জানানো হয় শিল্পী অসিম রানাকেও। সহ-সভাপতি আবু জাফরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জোহরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজিমা আজমাল ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা  এস এম জাহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা ছিলেন মহিউদ্দিন আনোয়ার।অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ইয়াসমিন আরা রুপালি,সিনিয়র সদস্য মো: নুরুল ইসলাম তালুকদার, সিনিয়র সদস্য হাসনা বানুর লেখা কবিতা পাঠ করেন সদস্য নিতু।
ডিনারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনা করেন ইয়াসমিন আরা রুপালি, ওয়াশিংটন ডিসির জনপ্রিয় শিল্পী অসিম রানা। ঢাকা ক্লাবের অনুষ্ঠানটি বিকাল-সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সংস্কৃতিক আয়োজন। সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা ক্লাবের কর্ণধার ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।